বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার তিন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এসব রায় দেন।
পাঁচ বছর আগে তুরাগ থানার নাশকতার এক মামলায় বিএনপির ৯৩ নেতাকর্মীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শেখ সাদীর আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন- আব্দুর রশিদ, আলম মিয়া, কামাল হোসেন, মোজাম্মেল, নুরুল সিলাম, সুরুজ মিয়া, বোরহান উদ্দিন মনু, হালিম, বারী হুজুর, শাহ আলম, বাদশা, নেছার আহাম্মেদ টুটুল, আবু বক্কা সিদ্দিক, বশির, আমির, কবির হোসেন, খলিলুর রহমান, জলিল মিয়া, সরোয়ার হোসেন, মো. দুলাল মিয়াসহ প্রমুখ।
আসামিদের দণ্ডবিধির ১৪৩ ধারায় ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড, দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩৫৩ ধারায় আড়াই বছরের সশ্রম করাদণ্ড, দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রামপুরা থানার মামলায় ১৩ জনের কারাদণ্ড
২০১৮ সালে রাজধানীর রামপুরা থানার দায়ের করা নাশকতার এক মামলায় বিএনপির ১৩ জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ’র আদালত।
সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন- আব্দুল কাদের, ডা. খান মতিউর রহমান, লোকমান খান, জহিরুল ইসলাম, মাইনউদ্দিন, আহসান হাবিব, হাফেজ আব্দুল কাইউম ভাই, ইকবাল কবির নিপু, সাখাওয়াত হোসেন রিফাত, মিজানুর রহমান গালিব ওরফে গালিব হাসান ওরফে চৌধুরী ইভান, আজিজুল্লাহ ভুইয়া, সালেহ আহমেদ ও লুৎফর রহমান।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। নাশকতার অভিযোগে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে রাজধানীর রামপুরা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
বংশাল থানার মামলায় ১৫ জনের জেল
দশ বছর আগে রাজধানীর বংশাল থানার নাশকতার এক মামলায় বিএনপির ১৫ জনকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন- মোহন, তাইজুদ্দিন ওরফে লম্বা তাইজু , শাহাজাহান,মাসুম, ডলার ইকবাল, ইয়াকুব সরকার, হাজী মো. আদিল, মীর মোহাম্মাদ আলী প্রমুখ। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদেরকে দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৪৬ জনকে খালাসের আদেশ দেন আদালত।
২০১৩ সালে নভেম্বর মাসে নাশকতার অভিযোগ মামলাটি দায়ের করে পুলিশ।