কদর আছে বলেই আওয়ামী লীগসহ সব বড় দল জাতীয় পার্টিকে (জাপা) পাশে চায় বলে মন্তব্য করেছেন পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে ইশতেহার ঘোষণা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আমরা আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি প্রার্থী দিয়েছি। নির্বাচনের পর জোটের সরকার গঠনের সুযোগ নেই। আমাদের কদর আছে বলেই আওয়ামী লীগসহ সব বড় দল জাতীয় পার্টিকে পাশে চায়।
তিনি বলেন, আমরা লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করছি। আমাদের একটি রাজনৈতিক ভিত্তি আছে, রাজনৈতিক আদর্শ আছে। আমাদের নেতা তার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে দেশে একটি সুশাসন দিয়েছিলেন, তিনি অনেক সংস্কার করেছেন। উপজেলা পরিষদ পদ্ধতির প্রবর্তন করেছিলেন, তাই সাধারণ মানুষ আজও জাতীয় পার্টিকে চায়।
চুন্নু বলেন, নির্বাচনকে অর্থবহ করার জন্য নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করার জন্য, নির্বাচনে যেন ভোটাররা আসে সে পরিবেশ যেন তৈরি হয় সেই লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছিল, আবার হবে। সেই সব আলোচনায় অনেক সময় অনেক বিষয় চলে আসতে পারে। নির্বাচন একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয় এখানে কোনো আসনে কোনো প্রার্থীকেই ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। কোনো প্রার্থীকে যদি কেউ দুর্বল ভাবে তাহলে সে বোকার স্বর্গে বাস করে। জনগণের যদি সমর্থন পাই তবে আমরা বিজয়ী হব।
এর আগে মুজিবুল হক চুন্নু তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ২৪টি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেন। ২৪টি বিষয়ের মধ্যে রয়েছে- প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তন, নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার, পূর্ণাঙ্গ উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তন, সুশাসনের বাংলাদেশ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং মামলার জটের অবসান, শিক্ষিত-অশিক্ষিত বেকার যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য সেবা সম্প্রসারণ, শিক্ষা পদ্ধতির সংশোধন, ইসলামিক আদর্শ ও ধর্মীয় মূল্যবোধ, সন্ত্রাস দমন ও মাদকের বিস্তার রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, সর্বোচ্চ ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের কল্যাণ সাধন, খাদ্য নিরাপত্তা, নদী সংরক্ষণ ও ভাঙন রোধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
এছাড়া ইশতেহারে আরও রয়েছে শিল্প ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি সাধন, ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর স্বার্থ সংরক্ষণ, নারী সমাজের কল্যাণ সাধন, জলবায়ু পরিবর্তন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান-মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতির সংস্কার, গুচ্ছগ্রাম পথকলি ট্রাস্টের পুনঃপ্রতিষ্ঠা, রেশনিং ব্যবস্থা চালু, যোগাযোগ ব্যবস্থার সংস্কার এবং অভিবাসন।
নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণায় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু ছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।