বলিউডের বাদশা শাহরুখ খান থেকে দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্ত, এমন অনেক অভিনেতা রয়েছেন যাদের তারকা হওয়ার যাত্রাটা মোটেও সহজ ছিল না। অভিনয়কে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেওয়ার আগে অন্য পেশায় ছিলেন তারা।
প্রথমেই শোনা যাক অক্ষয় কুমারের কথা। দিল্লিতেই শৈশব কেটেছে এই অভিনেতার। এরপর চলে আসেন মুম্বাইয়ে। সেখানে হোটেলে ওয়েটার হিসেবে কাজ করেন। পরে অভিনয় জগতে পা রাখেন। ছোট ছোট কিছু চরিত্রে অভিনয়ের পর আত্মপ্রকাশ ঘটে বলিউডে। ১৯৯১ সালে সৌগন্ধ চলচ্চিত্র দিয়ে বলিউডে পথচলা শুরু অভিনেতার। এরপরের বছরেই ‘খিলাড়ি’ দিয়ে সাফল্য পেয়ে যান তিনি। সেখান থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি অক্ষয়ের। প্রায় তিন যুগের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতাদের তালিকায় নিয়ে গেছেন নিজেকে।
দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্ত। পুরো ভারতজুড়েই ভক্ত রয়েছে যার। কিন্তু অভিনেতা হিসেবে খ্যাতি অর্জনের আগে বাস কন্ডাক্টর হিসাবে বেঙ্গালুরু ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসে কাজ করেছিলেন তিনি। সেখান থেকে শোবিজ অঙ্গনে পথচলা শুরুর পর সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছাতেও সময় লাগেনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, জ্যাকি চ্যানের পরে এশিয়ার সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতা রজনীকান্ত।
‘বলিউড বাদশা’ শাহরুখ খান যখন বিনোদন জগতে প্রবেশ করেন তখন তার বয়স ছিল ২৩ বছর। প্রথমদিকে, তিনি একজন টিভি অভিনেতা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। সার্কাস এবং ফৌজির মতো জনপ্রিয় সিরিয়ালে হাজির হয়েছিলেন। পরবর্তীতে, দীর্ঘ সংগ্রামের পর, ১৯৯২ সালে ‘দিওয়ানা’ দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। এর একবছর পরেই ‘বাজিগর’ সিনেমা দিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান।
উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরের ছোট শহরে বসবাসকারী একটি কৃষক পরিবারের ছেলে ছিলেন অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী। হরিদ্বার থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর একটি পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানির রসায়নবিদ হিসেকে কর্মজীবন শুরু করেন।
জীবিকা নির্বাহ ও পরিবারের ভরণপোষণের জন্য প্রহরীর চাকরিও করেছিলেন এই অভিনেতা। কিন্তু অভিনয়ের ঝোঁক ছিল নওয়াজউদ্দিনের মাঝে। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে এই তারকা জানিয়েছেন, কত অডিশনে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাকে শুধুমাত্র চেহারা নায়কের মতো নয়, এমন অজুহাত দিয়ে। এরপর জেদ থেকেই অভিনয় দিয়ে বলিউডে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন এই অভিনেতা। নায়ক না হলেও অন্য বিভিন্ন চরিত্রে তাক লাগানো অভিনয় দিয়ে গল্পের প্রধান আকর্ষণ হিসেবে হাজির করেছেন নিজেকে।