ফিলিস্তিনে বর্বর ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক সংহতি সমাবেশ ‘ইন্তিফাদা ফিলিস্তিন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বর প্রাঙ্গণে ’চিন্তক’ আয়োজিত ‘ইন্তিফাদা ফিলিস্তিন’ শীর্ষক এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে বিপ্লবী বক্তৃতা, প্রতিবাদী গান ও কবিতার মাধ্যমে ফিলিস্তিনে ঘটে যাওয়া নির্যাতন, অত্যাচার ও শিশু হত্যার করুণ চিত্র বর্ণনা করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনের ওপর নির্মম হত্যাকাণ্ডের ছবি প্রদর্শন করা হয়। কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী কবিতা’ আবৃত্তির মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের বিপ্লবী চেতনা চিত্রায়িত করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ‘হেলথ কেয়ার ওয়ার্কার্স ফর প্যালেস্টাইন’র বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সংগঠক ডা. জয়দীপ ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বারা প্রকাশিত ত্রৈমাসিক সাময়িকী ‘সাইরেন’র উপদেষ্টা রাফিকুজ্জামান ফরিদসহ বিভিন্ন সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিবর্গ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে সংহতি জানিয়েছেন চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সংগঠক সুষ্মিতা রায় সুপ্তিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
‘চিন্তক’ সাময়িকীর সম্পাদক ও প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সংহতি সমাবেশের অন্যতম আয়োজক ইভান তাহসীব বলেন, আমরা এই সংহতি সমাবেশ থেকে বলতে চাই, ফিলিস্তিনের মানুষের আজকে যে ভয়াবহ অবস্থা তার জন্য ইসরায়েলি জায়নবাদ যেমন দায়ী, তেমনই দায়ী মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ। ফিলিস্তিনে যে নারী, শিশু সর্বোপরি মানুষ মরছে তার প্রতিবাদে শামিল হতে ‘চিন্তকের’ আজকের এই সাংস্কৃতিক আয়োজন। এটা শুধু ধর্মের যুদ্ধ নয়, এটা আমেরিকার পুঁজিবাদী স্বার্থের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার যুদ্ধ। সব ইহুদিরা ফিলিস্তিনিদের গণহত্যার পক্ষে নয়। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানে অসংখ্য ইহুদি এ গণহত্যার প্রতিবাদ করছে।