মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে চলতি বছরের শেষ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। যেখানে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্টে তারা ৪ উইকেটে হেরেছিল। ম্যাচ জিতলেও পরবর্তীতে কিউই অধিনায়ক টিম সাউদি তার ক্যারিয়ারে খেলা ‘সবচেয়ে বাজে উইকেট’ বলে অভিযোগের তির ছুড়েছিলেন মিরপুরের দিকে। এবার বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসিও বাংলাদেশের এই ভেন্যুকে শাস্তি হিসেবে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়েছে। মিরপুরের পিচকে ‘অসন্তোষজনক’ তকমা দিয়েছে আইসিসি।
আজ মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) আইসিসির এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় টেস্টের ম্যাচ রেফারি ছিলেন ডেভিড বুন। সাবেক এই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানের দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এসেছে এই শাস্তির রায়। আইসিসির পিচ ও আউটফিল্ড মনিটরিং প্রক্রিয়া মেনে বাংলাদেশের এই হোম অব ক্রিকেট ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছে।
এর আগে ডেভিড বুন দুই দলের অধিনায়কের সঙ্গে আলোচনার পর ম্যাচ অফিসিয়ালদের উদ্বেগের ব্যাপারটি আইসিসির কাছে জানান। সেই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। বিসিবি চাইলে এই রায়ের বিরুদ্ধে আগামী ১৪ দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবে।
ওই প্রতিবেদনে ম্যাচ রেফারি পিচ অপ্রস্তুত বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। যেখানে বলের অস্বাভাবিক বাউন্স এবং হঠাৎই গড়িয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি, ‘মাঠের আউটফিল্ড খুব ভালো ছিল এবং বৃষ্টি সত্ত্বেও তাতে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। যাইহোক, পরে দেখা গেছে যে ম্যাচের পিচ ছিল কম-প্রস্তুত (আন্ডার-প্রিপেয়ার্ড)। এটি যথেষ্ট শক্ত ছিল না এবং প্রথমদিন এর ঘাসগুলো কভারে ঢাকা ছিল।’
তিনি আরও লেখেন, ‘প্রথম সেশন থেকে অধারাবাহিক বাউন্স ছিল ম্যাচের পরের সময়টায়। অনেক ডেলিভারিতেই বল পিচ থেকে লাফিয়ে উঠেছে। এমনকি স্পিনারদের ডেলিভারিও লাফিয়ে ব্যাটারদের কাঁধের ওপর দিয়ে গেছে এবং কখনও কখনও সেগুলো গেছে খুব নিচু হয়ে।’
দ্বিতীয় ম্যাচটি চতুর্থ দিনে গড়ালেও, সবমিলিয়ে খেলা হয়েছে মাত্র ১৭৮.১ ওভার। যা বলের হিসেবে দুই দিনেরও কম এবং টেস্ট ইতিহাসের তৃতীয় সর্বনিম্ন ওভারের ম্যাচ। পরে ম্যাচজয়ী কিউই অধিনায়ক টিম সাউদি মিরপুরের পিচ নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছিলেন। তার মতে– সম্ভবত এটা ক্যারিয়ারে খেলা সবচেয়ে বাজে উইকেট।
উল্লেখ্য, কোনো ম্যাচের ভেন্যু পাঁচ বছরের মধ্যে ৬টি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে। আর এই শাস্তির মেয়াদ স্থায়ী হবে ১২ মাস পর্যন্ত।