পিরোজপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে নির্বাচনী সহিংসতায় লালন ফকির (২৫) নামে এক যুবক মারা গেছেন। এর প্রতিবাদে জেলা শহরে গতকাল সোমবার রাতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
শনিবার রাতে পিরোজপুর-১ আসনের নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যকার পাল্টাপাল্টি হামলায় লালন গুরুতর আহত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়ি সদর উপজেলার ডুমরিতলা গ্রামে। এ খবর পিরোজপুরে পৌঁছালে রাতেই শহরে যুবলীগ-ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।
জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যার পর শারিকতলা-ডুমরিতলা ইউনিয়নে নৌকা মার্কার প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় লালন ফকির ও তাঁর সহযোগীরা জড়িত বলে নৌকা মার্কার সমর্থকদের অভিযোগ। ওই রাতেই ২০-২৫ জন লোক লালনের মাথা, মুখমণ্ডল, হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে খুলনা, পরে ঢাকায় পাঠানো হয়।
লালন হত্যার প্রতিবাদে গত রাতে শহরে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ কে এম এ আউয়ালের সমর্থকরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় তারা পিরোজপুর-১ আসনের নৌকার প্রার্থী বর্তমান এমপি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
নিহত লালন ফকির এ আসনের সাবেক এমপি আউয়ালের সমর্থক বলে জানা গেছে। তবে আরেকটি সূত্র দাবি করেছে, লালন পিরোজপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
বিক্ষোভ মিছিলসহ জেলা শহরে উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. আশিকুজ্জামান। পিরোজপুরের পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, লালন হত্যায় জড়িতদের পুলিশ শনাক্ত করেছে। দায়ীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।