ব্যাপক অনিয়ম-জালিয়াতির অভিযোগ তুলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন প্রার্থীদের একটি অংশ। এছাড়াও এই নিয়োগে প্রথম ধাপের পরীক্ষায় দেড় লাখেরও বেশি প্রার্থী অংশ নিতে পারেননি বলেও জানান তারা।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। এতে দেড় শতাধিক প্রার্থী অংশ নিয়েছেন
তাদের দাবি, হরতাল-অবরোধ ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে তিন বিভাগের ১ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। এজন্য গত ৮ ডিসেম্বর রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলায় যে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে, তা বাতিল করে নির্বাচনের পর স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নতুন করে পরীক্ষা নিতে হবে।
দাবি আদায়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেছেন তারা। পাশাপাশি হাইকোর্টে রিট করার প্রক্রিয়াও চলছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এর আগে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের পরীক্ষা শেষ হয়। আগামী ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহমেদ।
এদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রথম ধাপে রংপুর, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের ১৮ জেলায় একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। জেলাগুলো হলো— রংপুর, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার। তিন বিভাগে এবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। এবারই প্রথম আবেদন ও নিয়োগ পরীক্ষা বিভাগ ধরে ধরে দেওয়া হচ্ছে। গুচ্ছভিত্তিক এ নিয়োগে তিন ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।