বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপাইন ও চীনের জাহাজের মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
ফিলিপাইন দাবি করেছে, চীনের জাহাজ তাদের জাহাজে ধাক্কা মেরেছে। এছাড়া তাদের জাহাজকে চীনা জাহাজ ‘হেনস্তা ও আটকে রাখাসহ বিপজ্জনক কাজ করেছে’ বলে অভিযোগ করেছে দেশটি।
গতকাল শনিবার ফিলিপাইনের তিনটি জাহাজ লক্ষ্য করে পানি ছুড়ে মারে চীনের কোস্টগার্ডের জাহাজ।
দক্ষিণ চীন সাগরের বিভিন্ন দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে চীন ও ফিলিপাইনের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এছাড়া ওই অঞ্চলের অন্য দেশগুলোও এই সাগরের বিভিন্ন অঞ্চলকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে থাকে।
ফিলিপাইন অভিযোগ করেছে আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় থমাস সোলের স্পার্টলি দ্বীপপুঞ্জের কাছে তাদের বেসামরিক সরবরাহ জাহাজ লক্ষ্য করে চীন।
এরমধ্যে একটি জাহাজে থাকা মালামাল চীনা কোস্টগার্ডের জাহাজের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ওয়েস্ট ফিলিপাইন সি টাস্ক ফোর্স।
তারা আরও অভিযোগ করেছে, চীনের কোস্টগার্ডের জাহাজ জলকামান ব্যবহার করে পানি ছোড়ার কারণে একটি জাহাজের ইঞ্জিন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তবে চীন অভিযোগ করেছে, তারা ফিলিপাইনের একটি জাহাজকে সামনে অগ্রসর না হতে একাধিকবার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। কিন্তু হুঁশিয়ারি না মেনে ফিলিপাইনের জাহাজটি তাদের জাহাজকে ইচ্ছেকৃতভাবে ধাক্কা মেরেছে।
দক্ষিণ চীন সাগরে চীন ও ফিলিপাইনের মধ্যে যুগ যুগ ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। তবে গত বছর ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এ দ্বন্দ্ব বহুলাংশে বেড়ে যায়।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে আকাশ ও স্থল মহড়া দেয় ফিলিপাইন। এরআগে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গেও একই ধরনের মহড়া দিয়েছিল তারা।
চীনের দাবি দক্ষিণ চীন সাগরের ৯০ শতাংশই তাদের অংশ। তবে ২০১৬ সালে একটি আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল রায় দেয় চীনের এ দাবির কোনো ভিত্তি নেই। তবে চীন এ রায় মানেনি। এরবদলে তারা দক্ষিণ চীন সাগরে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করে।
বিরোধপূর্ণ এই অঞ্চল নিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেও উত্তেজনা রয়েছে। গত অক্টোবরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হুমকি দেন, চীন যদি ফিলিপাইনের ওপর কোনো আঘাত হানে তাহলে তাদের রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে আসবে।