রক্তের বিনিময়ে হলেও আগামী ৭ তারিখের নির্বাচন প্রতিহত করা হবে। এদেশের জনগণ তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চায়। দেশে আজ নির্লজ্জভাবে আওয়ামী সরকার নিজেদের মধ্যে যে আসন ভাগাভাগি করছে, জনগণ ঘৃণাভরে এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করবে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) নেতারা এসব কথা বলেন।
সারা দেশে চিকিৎসকদের হয়রানি ও গ্রেপ্তার বন্ধ, খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দিদের মুক্তি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিল এবং নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এ মানববন্ধন করেছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
ড্যাব তারা বলেন, ১০ তারিখ থেকে আমাদের অ্যাকশন শুরু হবে। আজকে পশ্চিমা বিশ্ব এই একতরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে। আগামী দিনে জনবিচ্ছিন্ন এই আওয়ামী লীগ দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
মানববন্ধনে চিকিৎসক নেতারা বলেন, ১৪ আর ১৮ সালের মতো এবছর আর আসন ভাগাভাগি ও লোক দেখানো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। ২০২৪ সালের নির্বাচনেও পুতুল সরকার পুতুল কমিশন গঠন করে আরেকটি সাজানো নির্বাচন উপহার দিতে চাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দেশে নাকি এত উন্নয়ন করছে। অথচ তিনিই বলেছেন দেড় মাস পর দেশে দুর্ভিক্ষ নামবে। তিনি আসলে কি উন্নয়ন করলেন যে দেশে দুর্ভিক্ষ নিয়ে আসলেন?
মানববন্ধনে ড্যাবের অন্যতম সদস্য ওবায়দুল করিম খান বলেন, আজ ডিসেম্বরের ৯ তারিখে দাঁড়িয়ে আমার কাছে মনে হয় আজও বাংলাদেশ স্বাধীন কি না। আমরা এক পাকিস্তানিদের হাত থেকে মুক্ত হলেও আরেক শক্তির হাতে বন্দি হয়ে আছি। সে দেশের প্রেসক্রিপশনে চলছে আমাদের দেশ, আমাদের নির্বাচন ও দেশের সার্বিক কাঠামো।
ড্যাবের-সহ সভাপতি ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস বলেন, জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য আজ আমাদের পথে নামতে হয়েছে। আজ আমরা চিকিৎসক হয়েও রাস্তায় নেমেছি। রাস্তায় নামতে হয়েছে। জনগণের অধিকার নিয়ে যারাই কথা বলছে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।