১৩ নভেম্বর শুরু হয়েছিল অ্যাথলেটিক্সে জাতীয় ক্যাম্প। এক মাস আগেই স্থগিত হয়ে গেল ক্যাম্প। গতকাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলনের পর অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন ক্যাম্প বন্ধ ঘোষণা করে।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু ক্যাম্প বন্ধের কারণ খোলাসা করেননি, ‘আমরা অনিবার্যকারণে ক্যাম্প বন্ধ করেছি। জাতীয় মিটের পর (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি) আবার ক্যাম্প শুরু করব।’
সম্প্রতি জাতীয় সামার মিট দুই বার ঘোষণা দিয়ে বন্ধের ক্ষেত্রেও অনিবার্যকারণই ব্যবহার করেছিল ফেডারেশন। অ্যাথলেটিক্সে সাধারণত আন্তর্জাতিক আসরের আগে ক্যাম্প শুরু হয়। থাইল্যান্ডে মার্শাল আর্ট গেমস স্থগিত হওয়ায় সাতার ফেডারেশন ক্যাম্প শুরু করেনি। অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন অবশ্য এর আগেই নিজস্ব উদ্যোগে ক্যাম্প শুরু করেছিল এবং গেমস স্থগিত হওয়ার পরও ক্যাম্প চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তিন সপ্তাহ পরেই ফেডারেশন পিছু হটেছে।
ফুটবল, ক্রিকেট, আরচ্যারি, শুটিং ও টেবিল টেনিসের বাইরে বছরব্যাপী ক্যাম্প করার সক্ষমতা সকল ফেডারেশনের নেই। আর্থিক, আবাসন ও নানা সীমাবদ্ধতায় ফেডারেশনগুলো ক্যাম্প চলমান রাখতে পারে না ৷ অ্যাথলেটিক্সের ক্যাম্প হয়েছে হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে। সেখানের আবাসন খুব একটা সুবিধাজনক নয়। ফেডারেশনের নেই নিজস্ব জিম ব্যবস্থাও। এত প্রতিবন্ধকতার মধ্যেই মাত্র সপ্তাহ তিনেকের ক্যাম্পেই লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়েছে। আকস্মিক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই ব্যয়ের উপযোগীতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
সাধারণত ট্টায়াল নেওয়ার পর ক্যাম্প শুরু হয়। অ্যাথলেটিক্সে হয়েছে উল্টো। ১৩ নভেম্বর শুরু হওয়া ক্যাম্পের ট্রায়াল হয়েছে ২৪ নভেম্বর। ক্যাম্পের মধ্যে ট্রায়াল, কিছু দিন পর ক্যাম্পই বন্ধ। হুটহাট এমন সিদ্ধান্তে অ্যাথলেটিক্স অঙ্গনে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। ক্রিকেট, ফুটবল বাদে বাকি ফেডারেশনগুলো মূলত সাধারণ সম্পাদক নির্ভর। তাই এসব সমালোচনার তীরও সাধারণ সম্পাদকের দিকেই!