ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ দলটির কয়েকজন নেতার সঙ্গে একান্তে বৈঠক করলেও সেখানে আসন বণ্টন নিয়ে কোনো কথা হয়নি বলে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। জাতীয় পার্টি লাঙ্গল প্রতীকে এককভাবে নির্বাচন করবে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে চুন্নু এসব কথা বলেন।
জাপা মহাসচিব বলেন, জাতীয় পার্টির নির্বাচন বর্জনের সংস্কৃতি নেই। তাই গণতান্ত্রিক পদ্ধতি চলমান রাখতেই নির্বাচনে যাবে জাতীয় পার্টি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হবে।
বৈঠকের আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনদের কোনো প্রার্থী যেন ভয়ভীতি দেখাতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগের কাছে নিশ্চয়তা চাওয়া হয়েছে। বর্তমানে আওয়ামী লীগের চেয়ে এন্টি আওয়ামী লীগের ভোট বেশি। সুষ্ঠু ভোট হলে বিপুল আসনে জয়লাভ করবে জাতীয় পার্টি। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসতে পারলে ৯১ সালের মতো নীরব ভোট বিপ্লব হতে পারে।
এদিকে ধানমন্ডিতে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই বৈঠক প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা যেসব রাজনৈতিক দল আছে তাদের সাথে আমাদের সহযোগিতা, সম্পর্ক আরও জোরদারের তাগিদ অনুভব করছি। যে কারণে ১৪ দলের সাথে বৈঠক হয়েছে। জাতীয় পার্টির সাথে বসেছি। মূল বিষয় ছিল নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে গুপ্ত হামলা, গুপ্তহত্যা প্রতিহত করব ভোটারদের নিয়ে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নির্বাচনমুখী অংশগ্রহণকারী দল, এদের মধ্যে সমন্বয় থাকা দরকার, ঐক্য থাকা দরকার। নির্বাচনকে পিসফুল, ফ্রি ফেয়ার করার অঙ্গীকার আমাদের রয়েছে। এখানে লুকোচুরির কোনো ব্যাপার নেই। আমরা রাজনীতি করি, রাজনৈতিক আলোচনায় আমাদের হয়েছে।’
বুধবার রাতে গুলশানের একটি হোটেলে বৈঠকটি হয়। বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নেতৃত্বে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমও উপস্থিত ছিলেন। আর জাতীয় পার্টির পক্ষে দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ দুই নেতা অংশ নেন।
বৈঠকের আলোচনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নানক বলেন, ‘আমরা আলাদা আলাদাভাবে নিজ নিজ জায়গা থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কাজ করবো।’
আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে জাতীয় পার্টির সাথে আমাদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে জাতীয় পার্টি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হবে এবং এই নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।’