ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের নিচে থাকা হামাসের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক সমুদ্রের পানিতে প্লাবিত করার কথা বিবেচনা করছে ইসরায়েল। এ লক্ষ্যে বড় সিস্টেমের পাম্পও একত্রিত করেছে দেশটি।
মূলত সুড়ঙ্গে অবস্থান করা হামাস যোদ্ধাদের বের করে দিতে টানেলগুলোকে প্লাবিত করার কথা ভাবছে তারা। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যোদ্ধাদের তাড়ানোর জন্য গাজা ভূখণ্ডের নিচে হামাসের ব্যবহৃত টানেলগুলোকে প্লাবিত করতে ইসরায়েল বিশাল পাম্প সিস্টেম একত্রিত করেছে বলে মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সোমবার জানিয়েছে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গত নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে গাজার আল-শাতি শরণার্থী শিবিরের প্রায় এক মাইল উত্তরে কমপক্ষে পাঁচটি পাম্প স্থাপনের কাজ শেষ করেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। এসব পাম্প প্রতি ঘণ্টায় হাজার হাজার ঘনমিটার পানি টানতে পারে এবং এতে করে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে গাজার সুড়ঙ্গগুলো প্লাবিত হয়ে যাবে।
প্রতিবেদন অনুসারে, গাজায় আটক সকল বন্দি মুক্তি পাওয়ার আগে ইসরায়েল এসব পাম্প ব্যবহার করার বিষয়টি বিবেচনা করছে কিনা তা এখরও পরিষ্কার নয়। হামাস এর আগে বলেছে, তারা ‘নিরাপদ স্থান ও সুড়ঙ্গে’ বন্দিদের আটক রেখেছে।
রয়টার্স অবশ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সোমবারের এই প্রতিবেদনের বিস্তারিত যাচাই করতে পারেনি।
প্রতিবেদনটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে মার্কিন এক কর্মকর্তা বলেন, গাজা ভূখণ্ডের নিচে থাকা টানেলগুলোকে ইসরায়েল অকার্যকর করে দিতে চায় এবং এটি করার জন্য দেশটি বিভিন্ন উপায় অবলম্বনের কথা ভাবছে।
অবশ্য ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলেছে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) একজন কর্মকর্তা গাজার সুড়ঙ্গগুলোকে প্লাবিত করার পরিকল্পনার বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। তবে তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে: ‘আইডিএফ বিভিন্ন সামরিক ও প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম ব্যবহার করে বিভিন্ন উপায়ে হামাসের সক্ষমতাকে ধ্বংস করার জন্য কাজ করছে।’
এছাড়া টানেলে পানি ভরে দেওয়ার এই সম্ভাব্য পরিকল্পনার বিষয়ে ইসরায়েল গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রথমবার জানায় উল্লেখ করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলেছে, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার এই পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের বিষয়ে কতটা এগিয়ে গেছে তা কর্মকর্তারা জানেন না।
এছাড়া ইসরায়েল এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বা বাতিল করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি বলেও কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে।