নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ৩০ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত এসব নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। এর মধ্যে আটজন কেন্দ্রীয় নেতা, বাকি ছয়জন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের।
বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত কেন্দ্রীয় আটজন নেতা হলেন: ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান, তাঁতী বিষয়ক সহসম্পাদক রাবেয়া সিরাজ, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, শাহ শহীদ সারোয়ার, মতিউর রহমান মন্টু, খন্দকার আহসান হাবিব ও এ কে এম ফখরুল ইসলাম।
তাদের মধ্যে শাহজাহান ওমর আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে বৃহস্পতিবার ঝালকাঠি-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
‘স্বতন্ত্র গণতন্ত্র মঞ্চ’ গঠন করে টাঙ্গাইল-৫ আসনে খন্দকার আহসান হাবিব এবং ঝালকাঠি-২ আসনে এ কে এম ফখরুল ইসলাম প্রার্থী হয়েছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ১ আসনে এবং শাহ শহীদ সারোয়ার ময়মনসিংহ-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান সিরাজের মেয়ে শুল্কা সিরাজ প্রার্থী হয়েছেন টাঙ্গাইল-৪ আসনে। মেয়ের পক্ষ নেওয়ায় শাহজাহান সিরাজের স্ত্রী রাবেয়া সিরাজকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
এছাড়া জেলা-উপজেলা পর্যায়ের বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- শেরপুর জেলার সহদফতর সম্পাদক জায়েদুর রশিদ শ্যামল, সদস্য আবদুল্লাহ, পঞ্চগড় জেলার সদস্য আব্দুল আজিজ, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সদস্য মাহবুবুল হাসান, ঢাকার ধামরাই পৌর বিএনপির সভাপতি দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবদুল মতিন।
তাদের মধ্যে বিএনএম থেকে শেরপুর-১ আসনে আবদুল্লাহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে আবদুল মতিন, তৃণমূল বিএনপি থেকে শেরপুর-২ আসনে জায়েদুল রশিদ শ্যামল, পঞ্চগড়-২ আসনে আব্দুল আজিজ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
জামালপুর-১ আসনে মাহবুবুল হাসান এবং ঢাকা-২০ আসনে দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তৃণমূল বিএনপিতে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্যদের মধ্যে আছেন মৌলভীবাজার-২ আসনের এম এম শাহীন, লক্ষ্মীপুর-১ আসনের এম এ আউয়াল, সাতক্ষীরা-৪ আসনের এইচ এম গোলাম রেজা, ঝিনাইদহ-২ আসনে নুরুদ্দিন আহমেদ, মেহেরপুর-২ আসনে আবদুল গণি।
বিএনএমে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্যদের মধ্যে শাহ আবু জাফর ছাড়াও আছেন বরগুনা-২ আসনের আবদুর রহমান, সাতক্ষীরা–৪ এইচ এম গোলাম রেজা, নীলফামারী–১ জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, জামালপুর–৪ মামুনুর রশিদ এবং সুনামগঞ্জ-৪ দেওয়ান শামসুল আবেদিন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে আছেন বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) আসনে জিয়াউল হক মোল্লা, কুমিল্লা-৫ আসনে শওকত মাহমুদ, কিশোরগঞ্জ-২ আসনের আখতারুজ্জামান, ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে দেলোয়ার হোসেন খান দুলু।
তবে বর্তমান কমিটিতে যাদের নাম রয়েছে তাদের বিএনপি তাদের বহিষ্কার করেছে। সাবেক নেতা যারা ভোটে অংশ নিচ্ছেন তাদের ব্যাপারে বিএনপি দলীয়ভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
এদিকে শুক্রবার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন, বিএনপি দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও তাদের ১৫ জন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৩০ জন সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ভোটে অংশ নিচ্ছেন। কাদের বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে বহুদিন পর একটা উৎসবমুখর পরিবেশ সারাদেশে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ২/১টা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিল কি না তারচেয়ে জনগণের অংশগ্রহণটা কেমন সেটা বেশি করে ভাববার বিষয়।