বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্যসহ দলটির অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে (বিএনএম) যোগ দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন বলে আলোচনা ছিল। কিন্তু আজ ৩০ নভেম্বর মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার শেষ দিন এসে দেখা গেছে মাত্র ছয় জন সংসদ সদস্য দলটিতে যোগ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে দলটি নিজেদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। ‘কিংস পার্টি’ নামে পরিচিতি পাওয়া দলটি ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ৮২টি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর ও মহাসচিব মো. শাহ্জাহান স্বাক্ষরিত প্রার্থী তালিকা গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। ঘোষিত প্রার্থীদের মধ্যে ছয়জন সাবেক সংসদ সদস্য রয়েছেন। তারা হলেন, ফরিদপুর–১ আসনে শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, বরগুনা-২ আসনের অধ্যাপক আবদুর রহমান, সাতক্ষীরা–৪ এইচ এম গোলাম রেজা, নীলফামারী–১ জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, জামালপুর–৪ মামুনুর রশিদ এবং সুনামগঞ্জ-৪ দেওয়ান শামসুল আবেদিন।
এছাড়া দলের মহাসচিব মো. শাহ্জাহান চাঁদপুর–৪, সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনী পাবনা-২ ও আরএকে সিরামিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান ব্রাহ্মণবাড়িয়া–১ আসন থেকে বিএনএমের মনোনয়ন পেয়েছেন। একরামুজ্জামান বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন।
দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানকে দল থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এ কে একরামুজ্জামানকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলাতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে উপজেলা বিএনপি। গতকাল বুধবার উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নান ও সাধারণ সম্পাদক কে এম বশির উদ্দিন এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রার্থী তালিকার বিষয়ে দলের মহাসচিব মো. শাহ্জাহান বলেন, বিভিন্ন আসন থেকে ৪৭৮ জন মনোনয়ন প্রত্যাশীর মধ্যে ৮২ জনকে চূড়ান্ত করেছি। আমরা কোয়ান্টিটিতে না, কোয়ালিটিতে বিশ্বাসী। যারা বিজয়ী হওয়ার মতো তাদের তালিকায় রাখা হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে দল মনোনীত প্রার্থীদের অধিকাংশ বিজয়ী হবেন।