শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, স্মার্ট শিক্ষার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ইতোমধ্যে আমরা লক্ষ্যমাত্রার দিকে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছি। বরাবরের মতো এবারও সম্পূর্ণ পেপারলেস ফল প্রকাশিত হয়েছে। বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে ফলাফল ডাউনলোড করতে পারবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
রোববার (২৬ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বোর্ড, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে পরীক্ষার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ক্রমশ উন্নতির ধারা অব্যাহত রয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের স্বপ্নের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ গড়ার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য বাস্তবায়নে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের ইতিবাচক মানসিকতা পোষণ এবং গতানুগতিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি।
এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেন ১৩ লাখ ৪৪ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৭ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৫ জন। সারা দেশে মোট কেন্দ্র সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৬৫৮টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ১৬৯টি। সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন।
এ বছর গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের গত বছরের চেয়ে এবার পাসের গড় হার কমেছে ৮ দশমিক ৩১ শতাংশ। গত বছর পাসের গড় হার ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট এবং এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানা যাচ্ছে। এছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও ফল সংগ্রহ করা যাচ্ছে।
চলতি বছর ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় ১৭ আগস্ট; আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পিছিয়ে যাওয়া তিনটি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা (চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড) শুরু হয় ২৭ আগস্ট। এবার পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে আইসিটিতে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।