বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালেই হঠাৎ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তামিম। তবে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন তিনি। এরপর চোটের কারণে এশিয়া কাপ না খেললেও বিশ্বকাপে তিনি খেলবেন বলেই নিশ্চিত ছিল। সে লক্ষ্যে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজও খেলেন তিনি। তবে বিশ্বকাপ দল ঘোষণার একেবারে আগমুহূর্তে টিম ম্যানেজম্যান্টের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে বিশ্বকাপ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন তামিম। এরপর আর ক্রিকেটে ফিরেননি তিনি। দেশ সেরা ওপেনারের সঙ্গে যা যা হয়েছে তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে ১৯ নভেম্বরের পর কথা বলার গুঞ্জন ছিল তামিমের। অবশেষে গতকাল তাই সত্যি হয়েছে।
গতকাল রাতে তামিম তার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছবি প্রকাশ করেন। ছবিতে প্রধানমন্ত্রী সহ তামিমের সঙ্গে ছিলেন তার সহধর্মিনী। ছবি প্রকাশ করে তামিম লিখেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করা সবসময়ই আনন্দের।”
গতকাল তাহলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কি কথা হয়েছে তামিমের? তবে কি তামিম তাকে নিয়ে বিশ্বকাপে চলা বিসিবির নাটকের সবকিছু প্রধানমন্ত্রীর কাছে উন্মোচন করেছেন। বিশ্বকাপ দল থেকে তামিমকে শেষ মুহূর্তে ছেঁটে ফেলেছিল বিসিবি। যার পেছনে দেশের ক্রিকেট বোর্ড ইনজুরিকে দায়ী করেছিল। কিন্তু তামিম তা অস্বীকার করে জানিয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছিল নির্বাচকরা।
এদিকে সামনে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেকেই ভাবছেন, তামিমও হয়তো রাজনীতিতে নামতেই এমন সাক্ষাৎ করেছেন। তবে এমন ধারণা সত্য নয়। দেশের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালকে তামিম জানিয়েছেন, রাজনীতিতে তার বিশেষ আগ্রহ নেই। সৌজন্য সাক্ষাত করতেই গিয়েছিলেন তিনি।
এছাড়া তামিম আরও জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যাপারে বিশেষ কোনো প্রয়োজন জড়িত ছিল না। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ক্রিকেট এবং দেশ সেরা ওপেনারের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।