ট্যুরিস্ট ভিসায় এসে বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন একজন পাকিস্তানি নাগরিক। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নজরে আসার পর চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
বুধবার (২২ নভেম্বর) ইউজিসির পরিচালক ওমর ফারুখ স্বাক্ষরিত এক চিঠি আইআইইউসির রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো হয়। ইউজিসির কাছে তিন কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে পাকিস্তান থেকে আসা ব্যক্তির নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং ওই ব্যক্তির জীবনবৃত্তান্ত চাওয়া হয়েছে।
চিঠিতে ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তিন ধরনের তথ্য জানতে চেয়েছে। এক- মোহাম্মদ আমিন নদভীকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কোন প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে (সংশ্লিষ্ট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, বাছাই কমিটির সুপারিশ, সিন্ডিকেট ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভার কার্যবিবরণীসহ)। দুই- যেসব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল সেসব পদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত জনবল কাঠামোর (অর্গানোগ্রাম) অন্তর্ভুক্ত কি না। অনুমোদিত জনবল কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকলে প্রমাণ (বোর্ড অব ট্রাস্টিজ ও সিন্ডিকেট সভার কার্যবিবরণী)। তিন- ওই ব্যক্তির জীবনবৃত্তান্ত, নিয়োগপত্র, নিয়োগের শর্ত, শিক্ষাগত যোগ্যতা, নাগরিকত্ব (জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট), ওয়ার্ক পারমিট (কাজের অনুমতি), ভিসা ইত্যাদির সত্যায়িত কপি।
জানা যায়, ট্যুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে বেড়াতে এসে দুই বছরের বেশি সময় ধরে চাকরি করছেন পাকিস্তানি নাগরিক মোহাম্মদ আমিন নদভী। চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১ সালের জুন মাস থেকে শিক্ষকতা করছেন তিনি। এছাড়া আর কিছু পদেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। জাতীয় একটি ইংরেজি গণমাধ্যমের অনলাইনে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। এ প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইউজিসি থেকে এ ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।