হামাসের সঙ্গে সংঘাতের সূত্র ধরে গাজায় নির্বিচার বোমাবর্ষণ করে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের হত্যার অভিযোগে ইতিপূর্বে বেশ কয়েকটি দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। এবার একই পথে হাঁটছে দক্ষিণ আফ্রিকাও। দেশটির পার্লামেন্ট ইসরায়েলের দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে।
গাজায় হামলার জেরে উত্তেজনার মধ্যে প্রিটোরিয়ায় থাকা ইসরায়েলের দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তাব আনা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার পার্লামেন্টে। সেখানে দেশটির আইনপ্রণেতারা এর পক্ষে রায় দেন। খবর আল জাজিরার
এর আগে রামাফোসা বলেছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা মনে করে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল। প্রিটোরিয়ায় ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে তেল আবিবে পরামর্শের জন্য ফেরত আনার পর প্রস্তাবটি পাস হয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে ইসরায়েলে কোনও রাষ্ট্রদূত নেই দক্ষিণ আফ্রিকার।
বামপন্থী বিরোধী দল ইকোনমিক ফ্রিডম ফাইটারস (ইএফএফ) ওই প্রস্তাবটি করেছিল। পরে এটিকে ক্ষমতাসীন আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসও সমর্থন করে। তবে মধ্যপন্থী ও শ্বেতাঙ্গ সংখ্যাগরিষ্ঠ ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (ডিএ) প্রস্তাবটির বিরোধিতা করেছে। ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স ইসরায়েলি নীতির সমর্থক।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় অন্তত ১৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ হাজার। আহতদের ৭৫ শতাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া নিখোঁজের সংখ্যা ছয় হাজার ছাড়িয়েছে। নিখোঁজদের বেশিরভাগই ধসে পড়া ভবনগুলোর নিচে পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলি হামলায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে ৮৩টি মসজিদ। তিনটি গির্জাকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়। ৪৩ হাজারের বেশি আবাসন ইউনিট সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে। বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজা উপত্যকার ৬০ শতাংশ আবাসিক ইউনিট।
গাজা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে ২৫টি হাসপাতাল এবং ৫২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিষেবার বাইরে চলে গেছে। ইসরায়েলি বাহিনী ৫৫টি অ্যাম্বুলেন্সকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে। গাজা প্রশাসন সেখানে চলমান নৃশংসতার জন্য ইসরায়েল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দায়ী করেছে।