ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ৩৬টি কক্ষে সংস্কারের কথা বলে ছাত্রদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে শিক্ষার্থীদের বিকল্প ব্যবস্থা না করেই হল ছাড়ার নোটিশ নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন হলের এসব কক্ষে অবস্থান করা শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, এত অল্প সময়ে কক্ষ ছেড়ে কোথায় উঠবেন তারা। অনেক শিক্ষার্থীর সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলমান থাকায় উভয় সংকটে পড়েছেন ঐতিহ্যবাহী এই হলটির অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের নিম্নোক্ত কক্ষসমূহ ও দক্ষিণ পশ্চিম পাশের বারান্দাসমূহে ফাটল থাকার কারণে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে এবং শীঘ্রই সংস্কার কাজ শুরু হবে বিধায় আগামী ১৯/১১/২০২৩ তারিখ কক্ষসমূহ খালি করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। কক্ষসমূহ: ৪, ৬, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩, ২৪, ২৫, ২৬,৪৯,১৫০, ১৫১ ১৫২, ১৫৩, ১৫৪, ১৫৬, ১৫৮, ১৬০, ১৬১, ১৬২, ১৬৩, ১৬৪, ১৬৫, ও ১৬৬।’
হলটির বৈধ আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষার্থীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা না করেই এসএম হলে ৩৬টি রুম ১৯ তারিখের মধ্যে ফাঁকা করতে বলা হয়েছে। অনেকের পরীক্ষা চলছে। আবার অধিকাংশ শিক্ষার্থীর আর্থিক অবস্থা ভালো না। এখন তাদের হলের রুমে থাকতে না দেওয়া হলে কোথায় উঠবে? এসব শিক্ষার্থী এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী ঢাকা মেইলকে বলেন, আমি হলের বৈধ আবাসিক শিক্ষার্থী। আমার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছে, কিন্তু হঠাৎ করেই হল রুম ফাঁকা করার নোটিশে আমি শঙ্কিত। কারণ অন্য কোনো রুমে আমাকে এখনো অ্যালটমেন্ট দেওয়া হয়নি। তাহলে রুম ছেড়ে আমি এখন কোথায় যাব?
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ঢাকা মেইলকে বলেন, বৈধ শিক্ষার্থীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়নি, বিষয়টি সঠিক নয়। যেহেতু হল প্রশাসন কক্ষ ছাড়ার নোটিশ দিয়েছে সেহেতু তাদের জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থা করেই নোটিশ দেওয়া হয়েছে।