পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিদেশিরা নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না। আপনারা (গণমাধ্যম) তাদের (বিদেশিদের) যত সুযোগ দেবেন তারা তত লাফালাফির সুযোগ পাবে। আপনারা (গণমাধ্যম) বিদেশিদের যদি কম পাত্তা দেন তাহলে তাদের লাফালাফি কমে যাবে। আমরা এসব নিয়ে মোটেই চিন্তিত নই।
রোববার (১৯ নভেম্বর) বিকেল তিনটায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে নৌকা প্রতীকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেউ যদি সদুপদেশ দেয় অবশ্যই আমরা সেটি গ্রহণ করব। আগেও যখনই কেউ ভালো প্রস্তাব দিয়েছে তখনই আমরা সেটি গ্রহণ করেছি। আর অবান্তর-অবাস্তব প্রস্তাব দিলে আমরা সেটা গ্রহণ করি না। বাংলাদেশের জনগণের পরিপক্কতা আছে, বিচার করার ক্ষমতা আছে। আমাদের দেশের মঙ্গলের জন্য জনগণের মঙ্গলের জন্য কাজ করি। বিদেশিদের জন্য কাজ করি না।
বিরোধীদলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এখনো সময় আছে আপনারা মানুষের জান-মাল নষ্ট না করে অগ্নি-সন্ত্রাস বন্ধ করে দেশবাসীর কাছে মাফ চেয়ে নির্বাচনে আসুন। আপনাদের কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করুন। তার আগে জাতীয় সম্পদ ও বাস পোড়ানো, মানুষ হত্যার অপরাধে জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। আপনাদের কতটুকু জনসমর্থন আছে সেটা প্রমাণ করুার জন্য নির্বাচনে আসুন। আমার অপজিশন লিডারশিপ (বিরোধী দলীয় নেতাদেরকে) বলব, যারা সন্ত্রাসী কাজ করছে, সাংবাদিক মেরেছে, বিচারকের বাড়িতে আগুন দিয়েছে, পুলিশ হাসপাতাল ধ্বংস করেছে তারা যদি বিএনপির লোক হয় তাহলে দল থেকে তাদের বহিষ্কার করুন। আর যদি বহিষ্কার না করেন আমরা ভাবব বিএনপি সন্ত্রাসীদের দল। আর সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না।
তফসিল ঘোষণার পর দেশে নির্বাচনী আমেজ তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আজ নমিনেশন পেপার সাবমিট করতে এসেছি। শত শত লোক এখানে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে এসেছে। এই গণজোয়ার ও গণজাগরণ দেখে আমরা খুবই আনন্দিত। তফসিল ঘোষণার পর থেকে সারা গ্রাম বাংলায় মানুষের মধ্যে নির্বাচনমুখী জোয়ার এসেছে। দারুণ অনুপ্রেরণা এসেছে। বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। আর আমার দলের মূলনীতি হলো- ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’।
তিনি বলেন, মানুষ এটা বিশ্বাস করে যে আওয়ামী লীগ নির্বাচনমুখী দল। কেননা এদেশে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সব নির্বাচনে জয়লাভ করেই সরকার গঠন করেছে। কোনোদিন চোরাই পথে সরকারে আসেনি। আর এবারেই আমরা প্রমাণ করব বাঙালি জাতি নির্বাচনমুখী জাতি। যারা এই নির্বাচন বানচাল করার প্রচেষ্টায় ব্যস্ত তাদের আমরা শিক্ষা দেব। অবশ্যই আমরা নির্বাচনে জয় লাভ করব।
দেশবাসী নির্বাচন চায় সেটি প্রমাণ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই সেদিনের অপেক্ষায় আছি যেদিন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা আবার সরকার গঠন করব এবং আমাদের যেসব অর্জন আমরা এখনও করতে পারিনি সেগুলো অবশ্যই অবশ্যই অর্জন করব।