প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলে ভর্তির জন্য আবেদনপত্র নেওয়ার সময় দ্বিতীয় দফায় বাড়ানো হয়েছে। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন সই করা নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সরকারি (সকল) ও বেসরকারি (মহানগর ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায়) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১ম শ্রেণি থেকে ৯ম শ্রেণিতে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির লক্ষ্যে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের অনলাইন আবেদন ফরম পূরণের সময়সীমা আগামী ১৮ নভেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো। অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ পরবর্তী আবেদনকারীরা ১৮ নভেম্বর দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন ফি জমা দিতে পারবেন।
প্রথম দফা ১২ নভেম্বর আবেদন নেওয়ার সময় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও টেকনিক্যাল কারণে প্রথম দফায় আবেদনের ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দুদিন বাড়ানো হয়।
মাউশি জানিয়েছে, দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণি ও আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। কোনো শ্রেণির কোনো শাখাতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না।
জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ অনুযায়ী প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ৬ বছরের বেশি হতে হবে। পরবর্তী শ্রেণিতে বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে।
শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বয়স নির্ধারণে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া যাবে।
শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য অনলাইন আবেদন ও লটারির তারিখ নির্ধারণ করবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর কারিগরি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান আবেদন ও ডিজিটাল লটারির যাবতীয় তথ্য ঢাকা মহানগরের ভর্তি কমিটির কাছে জমা দেবে। এরপর মাউশির তত্ত্বাবধানে ঢাকা মহানগরের ভর্তি কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে লটারির কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
সারাদেশের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনলাইনে প্রাপ্ত আবেদনের ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ নীতিমালা অনুযায়ী শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত প্রথম লটারির সমসংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা নির্বাচন করতে হবে। পরে প্রয়োজন হলে লটারির মাধ্যমে দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।