বিশ্বের অন্যতম দ্বীপরাষ্ট্র আইসল্যান্ডে ৩৪ ঘণ্টায় ২২০০ বারের বেশি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এমন অবস্থায় আশঙ্কা দেখা দিয়েছে আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাতের। এর ফলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার।
আইসল্যান্ডের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৪০০টি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এছাড়া শুক্রবার প্রথম ১৪ ঘণ্টায় ৮০০ বার ভূমিকম্প হয়েছে। খবর সিএনএনের
আইসল্যান্ড গ্রহের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি। একটি কেন্দ্রীয় আগ্নেয়গিরি থাকার পরিবর্তে, রেইকজেনেস উপদ্বীপে লাভা ক্ষেত্র এবং শঙ্কুসহ একটি ফাটলের আধিপত্য রয়েছে।
আইসল্যান্ডের নাগরিক সুরক্ষা এবং জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে, ‘জাতীয় পুলিশ প্রধান গ্রিন্ডাভিকের উত্তরে সুন্ধনজুকাগিগারে তীব্র ভূমিকম্পের (ক্রিয়াকলাপ) কারণে নাগরিক প্রতিরক্ষার জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।’
আইসল্যান্ডিক মেট অফিস (আইএমও) জানিয়েছে, কয়েক দিনের মধ্যে অগ্ন্যুৎপাত ঘটতে পারে। গ্রিন্ডাভিক গ্রাম থেকে প্রায় ৪ হাজার লোককে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
আইসল্যান্ডের জনগন খুব বেশ শান্তিপ্রিয় এবং মানবিক মানসিকতা সম্পন্ন। পৃথিবীর মধ্যে এই দেশে অপরাধীর সংখ্যা সবচেয়ে কম। ইউরোপ মহাদেশের একটি দ্বীপ রাষ্ট্র আইসল্যান্ড। রাজধানী রেইকিয়াভিক। ১৭৮৬ সালে জন্ম এই শহরের। শুরুতে নরওয়ে-র অধীনে থাকলেও, ১৯১৮ সালে আইসল্যান্ড স্বাধীনতা পায় এবং ১৯৪৪ সালে এখানে প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হয়। এই দেশটি অতি রুক্ষ।
দেশটিতে গাছের পরিমাণ খুবই কম, কোনো বন নেই। এখানে কৃষি ও খনিজ সম্পদ খুব কম। আইসল্যান্ডের পানি এতটাই বিশুদ্ধ যে কোনো প্রকার বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়া ছাড়াই পানি প্রত্যেক ঘরে ঘরে সরবরাহ করা হয়।
এই দেশের জনগন নিজেদের একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় কৃষিপ্রধান দেশ হিসেবে মনে করতেই পছন্দ করেন। দেশটির আবহাওয়া মাঝারি ধরনের অর্থাৎ বেশি গরমও নয় আবার বেশি ঠান্ডাও নয়। প্রাচীন নরওয়ে দেশের ভাষা থেকে আইসল্যান্ডের ভাষার উৎপত্তি। আইসল্যান্ডের সাথে নিকটতম ইউরোপীয় প্রতিবেশী দেশ স্কটল্যান্ডের দূরত্ব প্রায় ৮০০ কিলোমিটার। আইসল্যান্ড পৃথিবীর তৃতীয়-সুখী দেশ। গ্রীষ্মে গড় তাপমাত্রা ১০ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করে। এই দেশে কোনো এতিমখানা বা বৃদ্ধাশ্রম নেই।