বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) কানাডার পার্লামেন্টের সদস্য ব্র্যাড রেডেকপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) চিঠিটি প্রকাশ করেছেন, যিনি ‘কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ’-এর সভাপতি।
চিঠিতে তারা বলেন, আমরা আশা করি, আপনার সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা এবং ভিন্নমতকে সম্মান করবে। ভোটের অনিয়ম যেমন- ভোটারদের ভয় দেখানো, ভোট কারচুপি ও ব্যালট বাক্স ভর্তি করার মতো ঘটনা যেন না ঘটে, তা নিশ্চিত করা হবে। আমরা আশা করি, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে আপনার সরকার সহিংসতা প্রতিরোধে এবং সব বাংলাদেশির সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সচেষ্ট থাকবে। এ ছাড়া সব যোগ্য বাংলাদেশি নাগরিক নির্বাচনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন।
চিঠিতে বলা হয়, একটি শক্তিশালী গণতন্ত্রে বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের অংশগ্রহণ ও নাগরিকদের পছন্দ ন্যায্য প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে বিকাশ লাভ করে। সব রাজনৈতিক দলকে অবাধে অংশগ্রহণের অনুমতি এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া পক্ষপাতহীনভাবে পরিচালিত করার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত হতে পারে। এটি জাতির গণতান্ত্রিক কাঠামোকেই শুধু শক্তিশালী করবে না, বরং বিশ্বের জন্য একটি অনুপ্রেরণামূলক উদাহরণ হবে।
চিঠিতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রয়েছে। ভবিষ্যতে দুই দেশের জনগণ এবং পণ্য বিনিময় আরও বাড়বে। আর এটি শুধুমাত্র দুই দেশের শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার মাধ্যমেই ঘটতে পারে।
চিঠিতে সই করা কানাডার আট এমপির মধ্যে রয়েছেন- ব্র্যাড রেডেকপ, সালমা আতাউল্লাহজান, সালমা জাহিদ, লুক দেসিলেতস, কেন হার্ডি, ল্যারি ব্রোক, রবার্ট কিচেন ও কেভিন ওয়েগ।