গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ি ও জরুনসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা। এ সময় উত্তেজিত শ্রমিকরা ভাঙচুর ও টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে সড়ক অবরোধ করতে চাইলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে থেকে বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ করে। এসময় এক নারী শ্রমিক নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় মজুরি বাড়ানোর দাবিতে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে আসছেন। এরপর গতকাল মঙ্গলবার পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করে সরকার। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট না হয়ে বুধবার সকাল থেকে কোনাবাড়ি, জরুন ও বাইমাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা আবারও বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে শ্রমিকরা বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে কাঠ ও টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এছাড়া বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুরের চেষ্টা করে তারা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। শ্রমিকরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় শ্রমিক-পুলিশের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াও হয়। এতে এক নারী শ্রমিক নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে জামাল নামে এক পোশাক শ্রমিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, পুলিশ ও শ্রমিকদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার সময় এক নারী শ্রমিক গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।