ইসরায়েলি মন্ত্রীর পারমাণবিক হুমকির বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত চায় রাশিয়া। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এ তথ্য দিয়েছে।
মঙ্গলবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরামর্শ দিয়েছে যে আন্তর্জাতিক পরমাণু পরিদর্শকদের ইসরায়েলে পাঠানো উচিত। কারণ, একজন ইসরায়েলি মন্ত্রী বলেছেন, ‘গাজা উপত্যকায় একটি পারমাণবিক বোমা ফেলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবার স্বাধীনতা আছে ইসরায়েলের।’ এ জন্য ওই পারমাণবিক হুমকির বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত প্রয়োজন।
তিনি বলেন, প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে – আমরা পারমাণবিক অস্ত্রের উপস্থিতি সম্পর্কে ইসরায়েলের সরকারি বিবৃতি শুনছি (তাহলে সেখানে পারমাণবিক অস্ত্র আছে কিনা সে প্রশ্ন উঠেছে)। যদি তাই হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু পরিদর্শকরা কোথায়?
রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েল প্রকাশ্যে স্বীকার করে না যে তাদের পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। তবে ফেডারেশন অফ আমেরিকান সায়েন্টিস্টের অনুমান ইসরায়েলের প্রায় ৯০টি পারমাণবিক অস্ত্র বা ওয়ারহেড রয়েছে।
তিনি বলেন, গাজায় অবস্থান করা সমস্ত মানুষই সামরিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত। সেখানে কোনো বেসামরিক লোক নেই। গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রদানের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে ইসরায়েলের ব্যর্থতা।
এমন ঘৃণ্য মন্তব্য করার পরে ওই ইসরায়েলি মন্ত্রী তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এর পোস্টে বলেন, তার মন্তব্যগুলো ছিল রূপক। তবে উগ্রবাদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়া অবশ্যই প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলের এ পদক্ষেপ নাৎসিবাদ এবং তাদের সমর্থকদের কাছে স্পষ্ট করবে যে উগ্রবাদের কোনো মূল্য নেই।’
এরপর ইসরায়েলি মন্ত্রীর পারমাণবিক হুমকির জবাবে ফিলিস্তিনিরা নিন্দা জানিয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘এ মন্ত্রীর মন্তব্যগুলো ৩০দিন ধরে গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে ইসরায়েল যে গণহত্যামূলক যুদ্ধ চালাচ্ছে তার প্রতিনিধিত্ব করে।”