পাঁচ বছর পর পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন আরও সাড়ে ৪ হাজার টাকা বাড়াল সরকার। এর ফলে তৈরি পোশাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা আগামী ডিসেম্বর থেকে ন্যূনতম বেতন ১২ হাজার ৫০০ টাকা করে পাবেন।
এর আগে ২০১৮ সালে ন্যূনতম মজুরি ২৭০০ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় আট হাজার টাকা। তার আগে ২০১৩ সালে যা ছিল পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা। অর্থাৎ তিন দফায় গত ১০ বছরে পোশাক শ্রমিকদের নূন্যতম বেতন বাড়ল ৭ হাজার ২০০ টাকা। ২০০৮ সালে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি ছিল ৩ হাজার টাকা। গত ১৫ বছরে ৯ হাজার ৫০০ টাকা বেতন বেড়েছে তাদের।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান আগামী ৫ বছরের জন্য তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই আমরা এটা ঘোষণা করছি। ন্যূনতম মজুরি ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়বে। আট হাজার টাকা থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা হবে। সঙ্গে বছরে পাঁচ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট থাকবে।
এর আগে বেলা সাড়ে ১২টায় রাজধানীর তোপখানার মজুরি বোর্ডের সভা কক্ষে এ সংক্রান্ত আলোচনা শুরু হয়। এতে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি ছিলেন সিরাজুল ইসলাম রনি। অন্যদিকে মালিকদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি ছিলেন সিদ্দিকুর রহমান।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সচিব রাইসা আফরোজ, নিরপেক্ষ সদস্য অধ্যাপক ড.কামাল উদ্দীন এবং শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্বকারী সদস্য ও জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহম্মদ।
এদিকে শ্রমিকদের বেতন ২৫ হাজার করার দাবিতে গত কয়েক দিন ধরে আন্দোলন করছে মজুরি বৃদ্ধিতে গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, গার্মেন্টস শ্রমিক ও শিল্পরক্ষা জাতীয় মঞ্চ, গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স এলায়েন্স, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য মঞ্চ, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন।