লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপ-নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারছেন এক ছাত্রলীগ নেতা। ৫৭ সেকেন্ডের এমন একটি ভিডিও চিত্র ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তার নজরে আসার পর এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সোমবার (৬ নভেম্বর) সকাল থেকে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর রাতে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। কমিটিতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সফিকুর রহমানকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে দিয়ে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পেলে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে রোববার (৫ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচন চলাকালীন সময়ের প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারার ৫৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওটি চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন দিঘলী ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের। ওই ভিডিওতে ৪৩টি ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে দেখা গেছে। যিনি সিল মেরেছেন— তার নাম আজাদ হোসেন। তিনি লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তবে সম্প্রতি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করে জেলা ছাত্রলীগ।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ব্যালট পেপারে খুব দ্রুত সিল মারছেন বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা আজাদ। তাকে এ কাজে সহযোগিতা করছেন নৌকা প্রতীকের আরেকজন কর্মী। তাদের দুইজনের গলায় নৌকা প্রতীকের বেইজ ছিল। তবে এসব বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর বার্ধক্যজনিত কারণে লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল মারা যান। তার মৃত্যুতে ৪ অক্টোবর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মোট ১১৫টি কেন্দ্রে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটার সংখ্যা চার লাখ তিন হাজার ৭৪৪ জন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম ফারুক পিংকু নৌকা প্রতীকের এক লাখ ২০ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে অন্য ৩ প্রার্থী জামানত হারাতে যাচ্ছেন।