ক্রিকেটে অবশেষে ‘অভিষেক’ হলো ‘টাইমড আউট’ নিয়মের। সোমবার (৬ নভেম্বর) বিশ্বকাপে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা ম্যাচে লঙ্কান অ্যাঞ্জেলা ম্যাথিউসকে এই নিয়মের জাঁতাকলে পড়ে আউট হতে হয়েছে। কিন্তু ১৬ বছর আগে একইভাবে আউট হতে পারতেন সৌরভ গাঙ্গুলী। প্রতিপক্ষের অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ সে সময় সহানুভূতি দেখিয়েছিলেন সৌরভের প্রতি।
২০০৭ সালে কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। সেই টেস্ট ম্যাচে শুরুতেই একটি উইকেট হারিয়েছিল তারা। ফিল্ডিংয়ের সময় কিছুক্ষণ বাইরে ছিলেন বলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যাট করতে নামতে পারছিলেন না শচীন টেন্ডুলকার। চার নম্বরে নামার কথা ছিল ভিভিএস লক্ষ্মণের। তিনি তখন গোসল করতে ব্যস্ত ছিলেন। তার পরে ছিলেন সৌরভ, যার নামার কথা ছিল পাঁচে। তখন তিনি ট্র্যাকস্যুট পরে সাজঘরে বসে।
পরিস্থিতি বুঝে তড়িঘড়ি ড্রেস বদলে ব্যাট করতে নামেন সৌরভ। ভালো করে প্যাড, গ্লাভস পরার আগেই মাঠে নেমে পড়তে হয় তাকে। আইসিসির নিয়মানুযায়ী নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট পেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রোটিয়া অধিনায়ক স্মিথ গোটা দলকে নিয়ে ধৈর্য ধরে সৌরভের নামা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। আম্পায়ারের কাছে ‘টাইমড আউট’-এর আবেদনও করেননি।
সোমবার বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার ইনিংসের ২৫তম ওভারে ঘটে এই ঘটনা। সাদিরা সামারাবিক্রম আউট হওয়ার পরে খেলতে নামেন ম্যাথিউস। নির্ধারিত সময়েই মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু ব্যাট করতে যাওয়ার আগে হেলমেট পরার সময় তার হেলমেটের স্ট্র্যাপ ছিঁড়ে যায়। ফলে তিনি নিজের দলের ডাগআউটের দিকে ইঙ্গিত করে বিকল্প একটি হেলমেট আনতে বলেন। সেই হেলমেট আনতে যে সময় লাগে, তার মাঝেই আম্পায়ারের দ্বারস্থ হন সাকিব। দাবি করেন, নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেছে। তা হলে কেন ম্যাথিউসকে আউট দেওয়া হবে না?
আইসিসির নিয়ম বলছে, একজন ব্যাটার আউট হওয়ার ৩ মিনিটের মধ্যে (বিশ্বকাপে ২ মিনিট) নতুন ব্যাটার অথবা নন-স্ট্রাইকারকে এসে বল খেলার জন্যে তৈরি থাকতে হয়, যদি না আগে থেকে নতুন ব্যাটার আম্পায়ারের কাছে ‘টাইম’-এর আবেদন করে থাকেন। এই নিয়ম না মানা হলে, সংশ্লিষ্ট ব্যাটারকে ‘টাইমড আউট’ দেওয়ার অধিকার রয়েছে আম্পায়ারের।