সম্প্রতি একজন নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনারদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। আর এই দ্বন্দ্ব নিরসনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম আজ (৬ নভেম্বর) সারাদিন দৌড়ঝাঁপ করেছেন।
এজন্য সোমবার (৬ নভেম্বর) দুইটি আসনের উপনির্বাচনে অবৈধভাবে সিল মারা নিয়ে সচিবসহ কোনো কমিশনারদের পাওয়া যায়নি। কর্মকর্তারা বলছেন, একজন নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে অন্য নির্বাচন কমিশনারদের দ্বন্দ্ব নিরসনেই দৌড়ঝাঁপ করেছেন সচিব।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রথমে ইসি নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীরের দপ্তরে গিয়ে বৈঠক করেন সচিব। এরপর যান নির্বাচন কমিশনার ব্রি.জে. (অব.) মো. আহসান হাবিব খানের দপ্তরে। সঙ্গে নেন নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার দুই যুগ্ম সচিব মো. ফরহাদ আহাম্মদ খান ও মো. আবদুল বাতেনকে। এরপর সচিব, বেগম রাশেদা সুলতানার দপ্তরে গিয়ে বৈঠক করেন। সেখান থেকে বেরিয়েই যান নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমানের দপ্তরে। এরপর তিনি ফিরে আসেন নিজের দপ্তরে।
পরে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর কয়েক মিনিটের জন্য বৈঠক করেন মো. আহসান হাবিবের দপ্তরে। এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের দপ্তরে তিন কমিশনার গেলেও নিজ দপ্তরেই অবস্থান করেন মো. আনিছুর রহমান।
ইসি সচিব ও কমিশনারদের এই দৌড়ঝাঁপের মধ্যে সাংবাদিকরা বারবার তাদের কাছে যান। উপ-নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে চাইলে সচিব মো. জাহাংগীর আলম ‘আজকে না’ বলে বারবার পাশ কাটিয়ে যান। এর মাঝেই সাংবাদিকদের চোখ এড়িয়ে দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে দ্রুত নির্বাচন ভবন ত্যাগ করেন সিইসি। পরে সচিবসহ একে একে অন্য কমিশনাররাও চলে যান।
কর্মকর্তারা বলছেন, নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অবমূল্যায়িত হওয়ার কারণে অনেকটা একলা চলো নীতিতে অবস্থান নেন। তাই সংসদ নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে এসে দ্বন্দ্ব নিরসনেই চলে দিনভর খণ্ড খণ্ড বৈঠক। মূলত ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে চলছে এই দ্বন্দ্ব।