দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেসব কর্মকর্তা রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তাদের নিরাপত্তা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (৬ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ওই কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত ও বাসস্থানের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে অনুরোধ করে চিঠি দিয়েছে ইসি।
সোমবার (৬ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
এর আগে হেলিকপ্টারের চাহিদা চেয়ে সম্প্রতি রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের বরাবর চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা) মো. আতিয়ার রহমানের সই করা চিঠি পার্বত্য তিন জেলার নির্বাচন অফিসার বরাবর পাঠানো হয়। সোমবার সেই চিঠির উত্তরে ৩৩ কেন্দ্রের কথা জানান এই তিন জেলার নির্বাচন কর্মকর্তারা।
১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে গেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা। একাদশ সংসদ নির্বাচন ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর হওয়ার পর সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ৩০ জানুয়ারি। এর আগের ৯০ দিনের মধ্যে ভোট হওয়ার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এখনো ভোটের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেনি ইসি। তবে আগামী বছরের ৬–৯ জানুয়ারির মধ্যে ভোট হবে- এমনটা ধরে নিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় ভোটগ্রহণের তারিখ কয়েক দিন এগিয়েও আনা হতে পারে।
ইসি সূত্র জানায়, অমোচনীয় কালি ও স্ট্যাম্প প্যাড ছাড়া অন্যান্য নির্বাচনী সরঞ্জামের বেশির ভাগ ইতোমধ্যে জেলা নির্বাচন কার্যালয়গুলোতে পাঠানো হয়েছে। সাধারণত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গেই রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। এবার তফসিল ঘোষণার সপ্তাহখানেক আগেই রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করার চিন্তা আছে ইসির।
এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দ্বিতীয় ধাপে জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) এবং বিভাগীয় কমিশনারদের প্রশিক্ষণ দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে করতেই প্রথম ধাপের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। হরতাল-অবরোধের কারণে এর আগেও দ্বিতীয় ধাপের প্রশিক্ষণের জন্য দিন তারিখ পেছানো হয়। নতুন করে আগামী শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ও শনিবার (১১ নভেম্বর) নতুন দিন ধার্য করা হয়েছে।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (৬ নভেম্বর) ইসি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ইটিআই-এর মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত চিঠি সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়।
ইসি জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন অফিসারদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।