রোববার (৫ নভেম্বর) রাতে আশুলিয়ার খাগান এলাকায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস সংলগ্ন চানগাঁও গ্রামবাসীর সাথে শিক্ষার্থীদের এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীরা জানান, সন্ধ্যার পর হঠাৎ করে পাশের চানগাঁও এলাকার স্থানীয় লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে ট্রেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং দুই বিভাগে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় ছাত্ররা এগিয়ে এলে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা শুরু হয়। পরে তারা ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়ে স্থানীয় চানগাঁও মসজিদের মাইকে মাইকিং করে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘোষণা দেয়। এসময় সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত আটজন শিক্ষার্থী। পরে শিক্ষার্থীরা বাইরে বেরিয়ে বিক্ষোভ ও আন্দোলন শুরু করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করে ও সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। তবে এখনো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, আমরা সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলছিলাম। তখন হঠাৎ খবর আসে যে পার্শ্ববর্তী চাঁনগাও এলাকা থেকে লোকজন এসে ক্যাম্পাসে হামলা করেছে। এতে আমাদের ৭-৮ আহত শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
এদিকে আশুলিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার বেলায়েত হোসেন বলেন, আজ সন্ধ্যার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই আগে হামলা চালিয়ে ১৫-২০টি দোকান ভাঙচুর করেছে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের সাথে না পেরে এক পর্যায়ে মসজিদে মাইকিং করে লোকজনকে জড়ো করে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ অক্টোবর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের হাবিবুল হাসান অন্তর নামে এক শিক্ষার্থী স্থানীয় কয়েক তরুণের হাতে মারধরের শিকার হয়ে ২ নভেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় একটি বাজারের দেড় শতাধিক দোকানপাটে ভাঙচুর চালায়। তবে এ ঘটনায় মূল আসামি রাহাত নামে একজনকে গ্রেফতার করে ৩ নভেম্বর আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।