ধর্মেন্দ্রর দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্কে জানতে বরাবরই উৎসাহ রয়েছে সবার মধ্যে। কেমন চলছে তাদের পারিবারিক জীবন। সৎ ভাই-বোনদের মধ্যে সম্পর্ক কেমন। এগুলো জানতে চায় অনুরাগীরা। এবার সেটি নিয়েই মুখ খুলেছেন ধর্মেন্দ্রর ছেলেরা।
সম্প্রতি কফি উইথ করণের সিজিন ৮-এ দেখা গিয়েছে সানি ও ববি দেওলকে। আর সেখানেই উঠে এসেছে হেমা মালিনী ও তার দুই কন্যা এশা ও অহনার প্রসঙ্গ। সম্পর্কে এশা ও অহনা সানি-ববির ছোট বোন।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কফি উইথ করণে দেখা গেল সানি-ববিকে। যদিও এর আগে তাদের দেখা গিয়েছিল প্রায় ১৮ বছর আগে। কফি উইথ করণের সিজন ১-এ, ২০০৫ সালে।
গত অগাস্ট মাসে গদর ২-এর স্ক্রিনিংয়ে সানি এবং ববির পাশেই দেখা গিয়েছে হেমা-কন্যা এশা, অহনাকে। সানির ছবি গদর ২ ঘিরেও বলিউডি দর্শকদের উৎসাহ ছিল প্রচুর। ছবিটি অসাধারণ সাড়া পেয়েছে। এশা অগাস্ট মাসে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য গদর ২-এর এক বিশেষ স্ক্রিনিংয়ের আয়োজন করেছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সানি এবং ববি। সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায় তারা দুজনেই এশা, অহনার সঙ্গে ধরা দেন। সেবারই প্রথমবার ধর্মেন্দ্র চার সন্তানকে এক ফ্রেমে ধরতে পেরেছিল সংবাদ মাধ্যম।
ধর্মেন্দ্র প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সন্তান সানি এবং ববি। দ্বিতীয় স্ত্রী হেমা মালিনীর সন্তান এশা, অহনা। কিন্তু কীভাবে মিলে মিশে গেল একই পরিবারের দু’টি ধারা, দেওলরা কীভাবে গদর ২-এর সাফল্য উদযাপন করেছিলেন, করণ জোহরের সেপ্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ববি জানান, এই সবই করণের (সানি দেওলের বড় ছেলে) বিয়ে দিয়ে শুরু হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা কখনই মিডিয়ার সামনে আমাদের পরিবারকে নিয়ে আসতে স্বচ্ছন্দ নই। আমরা খুব (মিডিয়া) লাজুক। কিন্তু বিয়ের সময় আমরা কাউকে ভিডিও করা থেকে আটকাতে পারিনি। সেই ভিডিওগুলির কারণে এত ভালবাসা পেয়েছি। মানুষ দেখেছেন আমরা আসলে কেমন। আমি মনে করি আমাদের মেয়ে দৃশা (পুত্রবধূ) আমাদের এই ভাগ্য ফিরিয়ে দিয়েছে। করণের বিয়ের পর থেকে দাদা নাচছেন এবং তারপর গদর ২ হয়েছে। আমি দাদাকে এর আগে কখনও এত নাচতে দেখিনি।’ গত জুনে দীর্ঘদিনের বান্ধবী দৃশা আচার্যের গাঁটছড়া বাঁধেন করণ। দৃশা বাঙালি চিত্রপরিচালক বিমল রায়ের নাতনি।
এশা ও অহনার সঙ্গে তাদের সম্পর্কের সমীকরণ কেমন, এপ্রশ্নের উত্তরে সানি বলেন, ‘ওরা আমার বোন। সেটাই সব থেকে বড় বিষয়। কোনো কিছু দিয়েই সেটা বদলানো যায় না। ওরা খুব খুশি ছিল, সব থেকে বড় বিষয় হল, ছবিটি সফল হয়েছে। তারপর আমি একটা সাকসেস পার্টি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দ্বন্দ্ব ছিল, কে আসবে, কে আসবে না! আমার বন্ধু করিমই সব ব্যবস্থা করে দেয়। সকলে আমাদের বাড়িতে এসেছেন ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। এটাই সব থেকে বড় বিষয়।’