ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মধ্য দিয়ে অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরও এখন থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়াসহ সার্বিক তথ্য জানতে এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
বুধবার (১ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে এ রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম। চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। এ রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমে শিক্ষার্থী প্রতি ৫৮ টাকা ফি দিতে হবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা সমন্বায়ক ও ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আবুল বাশার বলেন, প্রথম এবং অষ্টম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া থাকলেও ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশনের পদ্ধতি ছিল না। তাই এর মাঝে কত শিক্ষার্থী ঝরে যাচ্ছে তাও তথ্য জানা সম্ভব হয় না। এজন্য চলতি বছর থেকেই ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। শিক্ষার্থীর দেওয়া তথ্যগুলো বোর্ডগুলোতে সংরক্ষিত থাকবে। ১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
জানা গেছে, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। এর মাধ্যমে মাধ্যমিকের এন্ট্রি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের তথ্য শিক্ষা বোর্ডগুলোর কাছে থাকবে। অষ্টম ও নবমে রেজিস্ট্রেশনের সময় এ তথ্যও ব্যবহার করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বোর্ড কর্তারা।
জানা গেছে, ষষ্ঠ শ্রেণিতে নিবন্ধিত হতে শিক্ষার্থীর বয়স ৯ বছরের বেশি হতে হবে। রেজিস্ট্রেশনে শিক্ষার্থীদের জন্মনিবন্ধন সনদ থাকতে হবে। পাঠদানের অনুমতিবিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ স্কুলের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পাবে না।
যেভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ঢাকা বোর্ড থেকে প্রকাশিত রেজিস্ট্রেশন বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন ফি ৫৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে রেজিস্ট্রেশনের ফরম পূরণ করা যাবে। সোনালী সেবার মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন ফি পরিশোধ করতে হবে। শিক্ষানীতি অনুযায়ী ৯ বছর পূর্ণ না হলে বা ১৫ বছরের বেশি বয়সের কেউ ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে না।
বোর্ড জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের তথ্য আপলোড করার জন্য স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সমন্বয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করতে হবে। এরপর চূড়ান্ত তালিকা ফাইনাল সাবমিটের আগে কমিটির সদস্যরা ভর্তি ফরম ও সনদের সঙ্গে মিলিয়ে তথ্য নিশ্চিত করবেন। পরবর্তীতে ফাইনাল সাবমিট দিতে হবে। চূড়ান্ত তালিকা প্রিন্ট করে প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করতে হবে।
শিক্ষার্থীর তথ্যে ভুল হলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১ থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের ফরম পূরণ করতে পারবে প্রতিষ্ঠানগুলো।
বোর্ড জানিয়েছে, ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইএসআইএফ পূরণ করতে হবে। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করতে ব্যর্থ হলে বা এ কারণে শিক্ষার্থীর কোন সমস্যা হলে এর দায়-দায়িত্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে বহন করতে হবে।