যাত্রী নেই, বাস চলছে না। কাউন্টার বন্ধ। মঙ্গল ও বুধবার (১ নভেম্বর) এমন চিত্র দেখা গেছে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায়। শ্রমিকদের মতে— অচল অবস্থায় পতিত হয়েছে গাবতলী টার্মিনাল। ২০১৪ সালের পর আবারও এমন প্রেক্ষাপটের সাক্ষী হলো গাবতলী।
বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল থেকে গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। আগের দিন টার্মিনালে যাত্রীর জন্য কাউন্টার খুলে অপেক্ষা করেছিলেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। তবে যাত্রী আসেনি। বুধবারও একই চিত্র দেখে কাউন্টারই বন্ধ রেখেছে নামজাদা পরিবহন প্রতিষ্ঠানগুলো।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, সকাল থেকে একজন যাত্রীর দেখাও পায়নি অধিকাংশ বাস কাউন্টার। যে ক’জন যাত্রী এসেছেন তাদের কাছেও টিকেট বিক্রি করা হয়নি।
গোপালগঞ্জ যাওয়ার জন্য টিকেট কিনতে গাবতলী বাস টার্মিনালে আসেন সুমাইয়া আক্তার। কয়ে(kকটি কাউন্টার ঘুরে এস ডি পরিবহন জানায়, রাতে তাদের দুটি বাস ছেড়ে যাবে। তবে টিকেট দেওয়া যাচ্ছে না।
যাত্রী আছে কি না জানতে চাইলে জে আর পরিবহনের কলার বয় আসহাদুল হক খোকা ঢাকা মেইলে বলেন, সকাল থেকে একটা যাত্রীও আসেনি। গতকালও ছিল না।
এর আগে এমন যাত্রী সংকট ছিল কি না জানতে চাইলে এই পরিবহন শ্রমিক বলেন, ২০১৪ সালে এমন ছিল। এরপর এবার।
আসহাদুল হক খোকা বলেন, আমরা কাজ করি কমিশনে। গাড়ি চললে টাকা আছে। গাড়ি না চললে নেই। এক দিন গাড়ি চললে ৬০০ টাকার মতো পাই। হরতাল আর অবরোধে আমার প্রায় তিন হাজার টাকা লস।
প্রতিষ্ঠানটির কাউন্টার মাস্টার ইফতেখারুল ইসলাম বাবুল ঢাকা মেইলকে বলেন, আমরা চাকরি করি কমিশনে। আমার কাছে এখন কোনো টাকা নেই। যদি আমার একশো টাকাও খরচ করতে হয়, ধার করতে হবে।
টার্মিনালে কমফোর্ট লাইন পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মো. সুমন ঢাকা মেইলকে বলেন, গতকাল বাস ছাড়া হয়নি। আজও না। যাত্রী নেই।
এদিকে যাত্রী না থাকায় কাজ নেই পরিবহন সংশ্লিষ্টদের। এই সুযোগে কেউ কেউ কাউন্টার ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করে নিচ্ছেন।
গাবতলী বাস টার্মিনালের ভেতরের অংশে প্রবেশ করে দেখা যায়, শতশত বাস টার্মিনালে অলস দাঁড়িয়ে আছে। যাত্রীদের বসার জায়গাগুলো ফাঁকা। পরিবহন শ্রমিকরা সময় কাটাচ্ছেন আড্ডা দিয়ে। কেউ কেউ কেরাম খেলায় মেতেছেন।