চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৩৮ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের অভিযানে নয়জন, আলমডাঙ্গায় ১২ জন, দর্শনায় পাঁচজন, দামুড়হুদা মডেল থানায় তিনজন ও জীবননগর থানায় পুলিশের অভিযানে নয়জন বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রোকন (৫০), আলমডাঙ্গা পৌর জামায়াতে ইসলামীর কর্মী তোফাজ্জল হক (৫৮), একই উপজেলার বাড়াদি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন (৩৩), চিৎলা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম ঠান্ডু (৫০), হারদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুস সাত্তার (৫৫), খাসকররা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্বাস আলী (৩৫), ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম (৪৫), ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক আহমেদ (৫৫), ৪নং ওয়ার্ডের জামায়াতের সেক্রেটারি হারুন অর রশিদ (৪০), আইলহাস ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম (৫০), কালিদাসপুর ইউনিয়নের জামায়াতের আমির রবজেল আলী (৬০) ও সেক্রেটারি আব্দুর রাজ্জাক (৫০)।
দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- দামুড়হুদার সদর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন ও জামায়াত কর্মী রফিকুল ইসলাম।
দর্শনা থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মদনা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আশিক ইকবাল চঞ্চল (৫১), নেহালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফরজ আলী (৪৮), ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলী (৩৫), দর্শনা পৌর এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক মন্টু মন্ডল (৪৫) ও দর্শনা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্বাস আলী (২২)। এ সময় তাদের নিকট থেকে সাতটি বোমা সদৃশ বস্তু, নয়টি বাঁশের লাঠি ও চারটি লোহার রড উদ্ধার করে পুলিশ।
জীবননগর থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জীবননগর পৌর বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান আলী মিয়া (৩৬), জীবননগর পৌর কৃষক দলের সভাপতি মোহাম্মদ ইউনুছ আলী (৫৫), জেলা বিএনপির সদস্য আবুল হোসেন (৫৮), বিএনপি কর্মী সুজাউদ্দিন (৪৯), আমজাদ হোসেন (৫৮), আমিনুল ইসলাম (২৬), মিলন হোসেন (৪৩), শাহিন উদ্দিন (৩৬) ও ইসরাফিল (২৫)।
অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রেপ্তারের সংখ্যা জানালেও নাম-ঠিকানা পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা পোস্টকে জানান, জেলায় আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী, নাশকতার পরিকল্পনাকারী, বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মানুষের জানমালের ক্ষতি সাধনকারী হিসেবে চিহ্নিত ৩৮ জনকে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।