রাজধানীর কয়েকটি স্থানে সাংবাদিকসহ ২৫ জন গুলিবিদ্ধের খবর পাওয়া গেছে। তাদের সবাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরের দিকে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সমাবেশকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে দুপুরে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে বিভিন্ন অলিগলি ও রাস্তায় রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এসময় বিজয়নগর, কাকরাইল এলাকা প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়। বিএনপির সমাবেশ স্থলে মাইকও বন্ধ হয়ে যায়। তবে মির্জা ফখরুলসহ অনেক নেতা-কর্মী মঞ্চে বসে থাকেন।
কিন্তু সংঘর্ষের পরে কাকরাইল মসজিদ ও রমনার হেয়ার রোড এলাকায় স্বল্প পরিসরে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সমাবেশ স্থল থেকে ফিরতে থাকেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেসময় গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের সামনের রাস্তায় লাঠি হাতে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টহল দিচ্ছেন বিজিবি সদস্যরা।
এদিকে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষের পর আগামীকাল রোববার (২৯ অক্টোবর) সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি। বিকেলের দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই হরতালের ঘোষণা দেন।