পুলিশের অনুমতি না পেলেও পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শনিবার রাজধানীর শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশ করার ব্যাপারে অনড় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ইতোমধ্যে সারা দেশ থেকে জামায়াতের নেতাকর্মীরা ঢাকায় এসেছেন। যেভাবে পেরেছেন, নানা ছদ্মবেশে ঢাকায় পৌঁছেছেন।
অনুমতি না পাওয়ার পরেও জামায়াতের মহাসমাবেশ করতে চাওয়ায় নাশকতার আশঙ্কায় সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শনিবার সকালে শাপলা চত্বরে ঢোকার সবদিকের সড়ক পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।
এ সময় জামায়াতের নেতা-কর্মীরা মিছিল শোডাউন করে। আরামবাগে পুলিশ ব্যারিকেড দিলে তা সরিয়ে শাপলা চত্বরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। তবে ফের ব্যারিকেড দেয় পুলিশ। ফলে সেখানেই স্লোগান ও মিছিল করছে জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
বিএনপি রাজধানীর নয়াপল্টনে, আওয়ামী লীগ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে এবং জামায়াতে ইসলামী শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশের কর্মসূচি দেয়। গতকাল রাতে ডিএমপি আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে নিজ নিজ জায়গায় সমাবেশ করার অনুমতি দেয়। কিন্তু জামায়াতের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি।
এক বিবৃতিতে জামায়াত জানিয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা, দলের আমিরসহ নেতাকর্মী এবং আলেমদের মুক্তি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এই মহাসমাবেশ কর্মসূচি দেওয়া হয়। যদিও ২৮ অক্টোবর জামায়াতের মহাসমাবেশ ডাকার আরেকটি উপলক্ষ্য আছে।
সেটি হলো, ২০০৬ সালে চারদলীয় জোট সরকারের মেয়াদ শেষে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা। জামায়াতের দাবি, সেদিন ‘লগি-বইঠার’ হামলায় তাদের ১৪ জন নেতাকর্মী নিহত হন এবং সহস্রাধিক নেতাকর্মী আহত হন। নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে জামায়াত প্রতিবছর ২৮ অক্টোবর স্মরণসভা করে। এবার দলটি ওই দিনে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে।