আজ শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টন ও বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগ-বিএনপি ছাড়াও আরও অন্তত ৯টি স্থানে সমাবেশ করবে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। বর্তমান সরকারের শেষ সময়ে এই সমাবেশ-মহাসমাবেশ নিয়ে রাজনীতির মাঠে চলছে চাপা আতঙ্ক। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও।
সমাবেশ-মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মূলত শুক্রবার রাত থেকেই রাজধানী ঢাকায় কমতে থাকে গণপরিবহন। শনিবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা মেলেনি বাসের। যাওবা দেখা গেছে তা নগণ্য। তবে রাস্তায় দাপট দেখাচ্ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা ও ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল।
শনিবার সকালে রাজধানী মিরপুর, ধানমন্ডি, আসাদগেট, শ্যামলী, আগারগাঁও, মিরপুর ১০, ফার্মগেটসহ বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন অলিগলিগুলোতে চলছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা-রিকশা ও মোটরসাইকেলের দৌরাত্ম্য। গন্তব্যে যেতে চালকেরা হাঁকছেন অতিরিক্ত ভাড়া। বাস না থাকার সুযোগে বেশি ভাড়া দিয়েই যেতে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে।
তবে সড়কে দেখা মিলেছে সরকারি পরিবহন সংস্থা বিআরটিসির কিছু বাস। দীর্ঘ অপেক্ষার পর কোনো একটি বাস আসলেই হুড়োহুড়ি করে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য ওঠা শুরু করছেন অপেক্ষারতরা। প্রতিটি বাসেই দেখা গেছে ভিড়। এদিকে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে।
গাবতলীতে কথা হয় কুষ্টিয়ার ইমতিয়াজের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘অনেক কষ্টে গাড়ির টিকিট ম্যানেজ করে গাবতলী এসেছি। তবে সকালে এখানে নেমে কোনো বাস পাচ্ছি না। নিউমার্কেট যাব। গাবতলী থেকে নিউমার্কেটের সিএনজি ভাড়া চাচ্ছে ৬০০ টাকা। যার কারণে অপেক্ষা করছি বাসের জন্য।’
ফার্মগেট থেকে আসাদগেট যাবেন ব্যবসায়ী রকি। বাস না পেয়ে রিকশাই এখন তাঁর ভরসা। তবে গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। রকি বললেন, ‘বাস না থাকায় রিকশা ভাড়া অনেক বেশি নিচ্ছে। আগে যেখানে ৭০/৮০ টাকায় যেতাম সেখানে আজ গুণতে হচ্ছে ১২০ টাকা।’