করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে চলছে সরকারঘোষিত ‘বিধিনিষেধ’ (লকডাউন)। তবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকছে শপিংমল ও দোকানপাট। এই সুযোগে রাজধানীর শপিংমলগুলোতে ঈদের কেনাকাটা করতে ছুটছেন ক্রেতারা। ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করে ফুটপাতেও বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়।
মার্কেটে আসা মানুষের মধ্যে আগের থেকে এখন মাস্ক পরার প্রবণতা বেড়েছে। তবে সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই। ফলে ঈদের কেনাকাটার ভিড়ে রাজধানীর শপিংমল, বিপনিবিতান ও ফুটপাতের দোকানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি অনেকটা ‘চিড়েচ্যাপ্টা’। রাজধানীর মিরপুরের একাধিক শপিংমল ঘুরে এমন চিত্র দেখে গেছে। তবে বিক্রেতারা বলছেন- মার্কেটে ক্রেতার ভিড় বাড়লেও বিক্রি বাড়েনি। রমজানের শেষ ১০ দিন বিক্রি বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।
মিরপুর-২ নম্বরের ফ্যাশন হাউজ ‘কে ক্রাফট’-এর বিক্রয়কর্মী রাজু বলেন, দোকান খোলার পর ক্রেতা বেড়েছে। তবে ঈদ উপলক্ষে যে বিক্রি হয়, সেটা এবার নেই। ঈদের আগের দুই সপ্তাহ প্রতিদিন ১০-১৫টি পাঞ্জাবি বিক্রি করা হতো। এখন ৪-৫টাও বিক্রি হচ্ছে না। এটা ঈদের বাজার না, নিয়মিত সময়ের বাজার।
মিরপুর-১০ নম্বরের শাহ আলী মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, পুরো মার্কেটই লোকারণ্য। মার্কেটের তিনতলায় মোবাইল ফোনের দোকানগুলোতে ভিড় ছিল তুলনামূলক বেশি। তবে বিক্রি নেই বললেই চলে বলে দাবি স্টার টেলিকমের স্বত্তাধিকাধিকারী মোহাম্মদ রাজুর। তিনি বলেন, ‘বিক্রি তো বাড়েনি। আগে প্রতিদিন ১০-১২টি মোবাইল বিক্রি করতাম। এখন তা অর্ধেকও হচ্ছে না।’
ফুটপাতে পোশাক বিক্রেতা জুয়েল শিকদার বলেন, প্রচণ্ড গরমে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। কেউ কেউ আসলেও কিনছেন কম। আরও কয়েকদিন পরে ঈদ বাজার জমে উঠবে। বেসরকারি চাকরিজীবী হাসিব বলেন, ‘সবাই (ক্রেতা-বিক্রেতা) তো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে। এতে তো সমস্যা হওয়ার কথা না। দোকানে প্রবেশের আগেই সবাই স্যানিটাইজার ব্যবহার করছি। ঈদ আমাদের বড় একটি উৎসব। ঈদে মানুষের আয়োজন থাকবেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সব কিছু করতে হবে।’
এদিকে শপিংমল ও দোকান খোলার অনুমতি দিলেও সরকারি নির্দেশনা ছিল- শপিংমলে যেতেও ‘মুভমেন্ট পাস’ নিতে হবে। তবে মার্কেটে আসা ক্রেতারা বলছেন, তারা কোনো মুভমেন্ট পাস নেননি। আসার পথে পুলিশ বা প্রশাসনের কারও মুখোমুখিও হতে হয়নি। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মার্কেটে আসতে হচ্ছে।