আজ নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। একই দিনে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। দুই পক্ষের এই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে প্রস্তুতি নিচ্ছে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নেতাকর্মীরা।
ছাত্রদলের ঢাবি শাখার একাধিক নেতা জানান, বিএনপির সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ২০০ নেতাকর্মীসহ অংশগ্রহণ করবে। এদিকে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার অন্তত ১০ হাজার নেতাকর্মী অংশ নেবে বলে জানিয়েছে দলটির ঊর্ধ্বতন নেতারা।
ছাত্রদলের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের উপস্থিতির সংখ্যাটি নির্দিষ্ট নয়। অনেক সাধারণ শিক্ষার্থীও আজ আমাদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করতে চাচ্ছে। তবে ছাত্রদলের ঢাবি শাখার ২০০ নেতাকর্মী নিয়ে আমরা সমাবেশের সামনের সারিতে উপস্থিত থাকব।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে আওয়ামী লীগসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ নানা চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমরা নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছি। আজ সবার আগে আমরা সমাবেশস্থলে উপস্থিত থাকব। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, আমরা আজ অন্তত ১০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে অংশগ্রহণ করব। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টেও আমাদের সতর্কতামূলক অবস্থান থাকবে।
তিনি আরও বলেন, কারও শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আমাদের বাধা নেই। তবে তারা যদি ২০১৩-১৪ সালের মতো ‘অগ্নিসন্ত্রাস’ ফিরিয়ে আনতে চায় তাহলে আমাদের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে তা প্রতিহত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগ ঢাকা শহরের মানুষের নিরাপত্তায় কাজ করবে। আমরা কখনোই কারও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মেনে নেব না।