এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৬০ মিলিয়ন ডলার কমেছে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২৫ অক্টোবর রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলারে, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নথি অনুযায়ী, দুই বছরের ব্যবধানে রিজার্ভ অর্ধেক নেমেছে। ২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল প্রায় ৪০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষে তা দাঁড়ায় ৩৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে।
বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব বাজারে পণ্যের দাম বেড়েছে, যা বাংলাদেশের মতো আমদানি-নির্ভর দেশগুলোর রিজার্ভে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের আমদানি পরিশোধে ব্যাংকগুলো, বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে মার্কিন ডলার সহায়তা নিচ্ছে। ফলে, দেশের রিজার্ভ কমছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশের মার্কিন ডলারের সবচেয়ে বড় দুটি উৎস রফতানি ও প্রবাসী আয় প্রত্যাশার চেয়ে কমেছে।
সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহ ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। এ মাসে রফতানি আয় গত বছরের চেয়ে ১০ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়লেও তিন মাসের মধ্যে তা সর্বনিম্ন।