২০১১ সালের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। আইসিসির এই মেগা ইভেন্টের আয়োজক হয়েও সর্বশেষ অর্থবছরে লাভের মুখ দেখতে পারেনি তারা। i–২৩ অর্থবছরে সংস্থাটির ১ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলার লোকসান হয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৮৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকার বেশি। গতকাল প্রকাশিত সিএর বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
২০২২–২৩ অর্থবছরের মধ্যে গ্যালারিতে দর্শক উপস্থিতির নতুন রেকর্ড দেখেছে অস্ট্রেলিয়া। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ দেখতে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজে) ছিলেন ৯২ হাজার দর্শক। এ ছাড়া পার্থ স্টেডিয়ামে ব্রিসবেন হিট ও পার্থ স্করচার্সের বিগ ব্যাশ ফাইনালেও ছিলেন ৫৩ হাজার ৮৬৬ দর্শক। তারপরও লাভে না থাকার অন্যতম কারণ হিসেবে অ্যাশেজের অনুপস্থিতির কথা বলা হয়েছে।
সিএর প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪–৩১ সময়ের জন্য ১৫১ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলারের মিডিয়া স্বত্ব চুক্তি করা হয়েছে। চুক্তিতে অস্ট্রেলিয়ায় খেলা দেখানোর স্বত্ব দেওয়া হয়েছে ফক্সটেল গ্রুপ ও সেভেন ওয়েস্ট মিডিয়াকে। আর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ভারতে দেখানোর স্বত্ব পেয়েছে ডিজনি স্টার।
সর্বশেষ অর্থবছরের সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা ৫০ ওভার ক্রিকেটের বিশ্বকাপ এবং কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয় করে। মেয়েদের ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের সঙ্গে পাঁচ বছর মেয়াদি একটি সমঝোতা স্মারকও সই করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার আয়ে নারী ক্রিকেটের অবদান আগের বছরের ৮ কোটি থেকে বেড়ে ১৩ কোটি ৩০ লাখে উন্নীত হয়েছে।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এক বিবৃতিতে জানানো হয়, খেলোয়াড়দের বেতন–ভাতা বাদ দিয়েও আয় ৫ শতাংশ বেড়েছে, যা করোনা–পরবর্তী ভ্রমণ ব্যয় বৃদ্ধি, বিগ ব্যাশ লিগে বিনিয়োগ এবং নতুন তৃণমূল ক্রিকেট ব্যবস্থার প্রোগ্রামে ব্যয় হয়েছে।
পুরো অর্থবছর মিলিয়ে ক্ষতি হলেও টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ভালোই আয় হয়েছিল সিএর। গত বছরের অক্টোবর–নভেম্বরে বিশ্বকাপ আয়োজন করে ৪ কোটি ২৫ লাখ ডলার বা প্রায় ৪৭০ কোটি টাকা আয় করেছিল অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।