খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় এভারকেয়ার হাসপাতালের সাত এবং তার ব্যক্তিগত তিন চিকিৎসকসহ ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডা. জাহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, তার কিছু পরীক্ষা হয়েছে। বৃহস্পতিবারও কিছু পরীক্ষা হবে। সেই রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করে ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) চিকিৎসার প্ল্যান (পরিকল্পনা) সম্পন্ন হবে। এরপর ম্যাডামকে বাসায় আনার সিদ্ধান্ত হবে।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। ডা. জাহিদ বলেন, ম্যাডামের অবস্থা স্ট্যাবল আছে। আমরা খুব আশাবাদী তিনি খুব দ্রুত বাসায় ফিরবেন। তিনি বলেন, আজকে মেডিকেল বোর্ড ম্যাডামের কিছু পরীক্ষা করেছে। তারা আরও কিছু পরীক্ষার সুপারিশ করেছে।
বুধবার রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সিটিস্ক্যান, ইসিজি, ইকো প্রভৃতি হৃদরোগের পরীক্ষা হয়েছে উল্লেখ করে ডা, জাহিদ বলেন, এর আগে গত ১৫ এপ্রিল ম্যাডামের সিটিস্ক্যানে ফুসফুসে অত্যন্ত মিনিমাম (কম) সংক্রমণ ছিল। কিন্তু গতকালে সিটিস্ক্যানে বিন্দুমাত্র ইনভলভমেন্ট (সংক্রমণ) নেই। কাজেই এটা ভালো দিক। করোনার বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. জাহিদ বলেন, ম্যাডামের করোনার কোনো উপসর্গ নেই। আপনার জানেন, আন্তর্জাতিক নিয়মে আছে কারও করোনা আক্রান্তের দুই সপ্তাহ পার হলে তার থেকে অন্যরা সংক্রমিত হয় না। সেই হিসেবে ম্যাডামের ২০ দিন চলে। এখন ম্যাডামের অন্য চিকিৎসা চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক আল মামুন, বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খান। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কার্ডিওলজিস্ট ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা শুরু চলছে। এছাড়া হাসপাতালে তার দেখাশোনা করার জন্য আছেন গৃহকর্মী ফাতেমা এবং ব্যক্তিগত আরেকজন নারী স্টাফ।
এর আগে, শনিবার (২৪ এপ্রিল) খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসার কথা জানিয়ে তার চিকিৎসক ডা. এফ এম সিদ্দিকী গণমাধ্যমে বলেন, তার আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার।
গত ১৫ এপ্রিল রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান করা হয়। এরপর তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা বলেন, সিটি স্ক্যানে খালেদা জিয়ার ফুসফুসে খুবই সামান্য সংক্রমণ হয়েছে। যা সত্যিকার অর্থে মাইল্ড পর্যায়েও পড়ে না। তাই খালেদা জিয়ার আগের ওষুধের সঙ্গে নতুন ওষুধ অ্যান্টিবায়োটিক যুক্ত করা হয়। এর আগে ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তার বাসভবন ফিরোজার আরও আটজন ব্যক্তিগত স্টাফও আক্রান্ত হন।