জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করলেও খেই হারিয়েছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ জয়ের পর হেরেছে টানা তিন ম্যাচ। ভারত, নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের কাছে হারে সেমিফাইনালের স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসতে শুরু করেছে। এমন সময়ে আজ নিজেদের পঞ্চম ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে টাইগাররা যেখানে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। মুম্বাইয়ে দুই দলের ম্যাচটি শুরু হবে আজ দুপুর আড়াইটায়।
এবারের বিশ্বকাপে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম দুই ম্যাচেই হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা এবং অস্ট্রেলিয়াকে। এরপর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হারলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে প্রবল প্রতাপে। পরের ম্যাচেই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে ২২৯ রানের বিশাল ব্যবধানে। চার ম্যাচের তিনটি জিতে তাই বেশ ভালো অবস্থানেই আছে প্রোটিয়ারা।
এদিকে এবারের আসরে আফগানিস্তান ছাড়া আর কোনো দলের বিপক্ষে সফলতা পায়নি বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচটি জয়ের পর টানা তিন ম্যাচে হার। সেই সঙ্গে ব্যাটারদের রান না পাওয়া। এছাড়া নতুন করে যোগ হয়েছে স্পিডস্টার তাসকিন আহমেদের চোট। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে আজকের ম্যাচে খেলতে পারবেন না তিনি। তবে টাইগার এই পেসার না থাকলেও চোট কাটিয়ে আজকের ম্যাচ দিয়েই ফের মাঠে ফিরছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
এদিকে টানা হারের মাঝে থাকা টাইগারদের পক্ষে কথা বলছেনা পরিসংখ্যানও। দুই দল এখনো পর্যন্ত একদিনের ক্রিকেটে মুখোমুখি হয়েছে মোট ২৪ টি ম্যাচে। এসব ম্যাচে প্রোটিয়াদের ১৮ জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশের জয় আছে মাত্র ৬টিতে।
তবে বিশ্বকাপের মঞ্চে অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সম পর্যায়েই আছে বাংলাদেশ। একদিনের ক্রিকেটের বিশ্বকাপে টাইগাররা প্রোটিয়াদের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে চারটি ম্যাচে। আর চারবারের দেখায় দুই দলেরই আছে সমান দুইটি করে জয় এবং পরাজয়।
বিশ্বকাপে ২০০৭ এবং ২০১৯ সালের দেখায় প্রোটিয়াদের বিপক্ষে জয়ী হয়েছিল বাংলাদেশ। আর হেরেছিল ২০০৩ এবং ২০১১ বিশ্বকাপে। বিশ্ব মঞ্চে এই চারবারের দেখায় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ বাংলাদেশের, ২০১৯ সালে টাইগাররা করেছিল ৩৩০ রান। আবার সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহও লাল-সবুজ দলেরই। ২০১১ সালে ঘরের মাটিতে বিশ্বকাপে ৭৮ রানে অলআউট হয়েছিল টাইগাররা। আজ প্রোটিয়াদের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে সাকিবদের জন্য অনুপ্রেরণা যোগাতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই বিশ্বকাপে দুইবারের সফলতা।