মালদ্বীপকে হারালে বড় অঙ্কের বোনাসের ঘোষণা আগেই দিয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। আজ শনিবার বাফুফের নির্বাহী কমিটির জরুরি সভা ছিল বোনাস সংক্রান্ত বিষয়ে। সেখানে অনেকেই এই বোনাস সংস্কৃতির বিপক্ষে কথা বললেও শেষপর্যন্ত ৬০ লাখ টাকা বোনাস প্রদানের বিষয় অনুমোদিত হয়েছে।
সবমিলিয়ে তিন মাসের মধ্যে জামাল ভূইয়াদের জন্য এক কোটি ১০ লাখ টাকা বোনাস। জাতীয় ফুটবলারদের জন্য আকস্মিকভাবে এত বোনাস কেন গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘এটা বিশ্ব ফুটবলের কালচার। সেটাই অনুসরণ করার চেষ্টা করছি। আমরা যাদের সঙ্গে খেলব তারা আরো বেশি পায়।’
বাফুফে জাতীয় ফুটবলারদের বোনাস দিচ্ছে অন্য দিকে সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ, চ্যাাম্পিয়নশিপ লিগের ক্লাবগুলো অংশগ্রহণ ফি, প্রাইজমানির কিছুই পায়নি। খেলা পরিচালনা করা রেফারিদের বকেয়া বিলও কোটির অঙ্কে। কোটি-কোটি টাকা বকেয়া রেখে বোনাসের যৌক্তিকতা প্রশ্নের উত্তরে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘তাহলে তো জাতীয় দল বন্ধ করে দিতে হয়? রেফারি বিল, প্রাইজমানিও যেমন দিতে হবে বোনাসও দিতে হবে। দুটোই চালাতে হবে।’
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ১৬ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। চার দিন ব্যবধানে বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ২১ নভেম্বর লেবাননের বিপক্ষে। এত কম সময়ের মধ্যে বেশি দূরত্বে দুই ম্যাচ খেলার মধ্যে সংকট দেখছেন বাফুফে সভাপতি, ‘আমরা ইকোনমি ক্লাসে খেলোয়াড়দের যেভাবে পাঠাই সেভাবে অস্ট্রেলিয়ায় খেলে এসে ঢাকায় খেলা কঠিন। এজন্য অনেক দেশ বিমান ভাড়া করে। যেটা করা অনেক ব্যয়বহুল।’
বোনাস ঘোষণার সম্মেলন শেষ করে নিজ কক্ষে প্রবেশ করার এক মিনিট পরেই আবার সংবাদ মাধ্যমের সামনে আসেন সালাউদ্দিন। এসে আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া, লেবানন ও ফিলিস্তিন এই তিন ম্যাচে যদি কেউ স্পন্সর, পৃষ্ঠপোষকতা করতে চায় তাদের আমরা স্বাগত জানাই। কারো যদি কোনো পরিচিত কেউ থাকে বা আগ্রহী থাকে আমাদের জানাতে পারে।’ এত আর্থিক ঘাটতি, কোটি টাকা বকেয়ার মধ্যেও বোনাস চলমান রাখার প্রত্যয় সভাপতির কন্ঠে, ‘ফিলিস্তন, লেবাননের পক্ষে ভালো করলে অবশ্যই আরো বেশি বোনাস হবে।’