দুই যুগের অধিক সময় ধরে দেশের পুঁজিবাজারকে পিছিয়ে রাখা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের উদ্বোধনী লেনদেন এবং রিং দ্যা বেল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, এই বাজার অনেক টেকনিক্যাল। এর গুরুত্বও অনেকে অনুধাবন করতে পারতেন না। পুঁজিবাজার সে জায়গা থেকে বের হয়ে এসেছে। বর্তমানে বাজার এগিয়ে যাচ্ছে। বাজারের ব্যাপ্তি অনেক বেড়েছে। নতুন নতুন প্রোডাক্ট চালু হচ্ছে। তবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিকে টেকসই করতে হলে এই বাজারের আরও বিকাশ দরকার।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, একটি গতিময় পুঁজিবাজার ও এর স্থিতিশীলতার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড জরুরি। নির্বাচনের পর অর্থনীতিতে যে গতি সঞ্চার হবে, তার চাহিদা পূরণে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলে অবশ্যই মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত ও পুঁজিবাজারকে অনেক দূর নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
অন্ধভাবে ব্যবসায়ীদের সমালোচনা না করে যৌক্তিকভাবে বিশ্লেষণ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অনেকে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে তারা লাভ করে। বিষয়টিকে এভাবে দেখা ঠিক নয়। কারণ ব্যবসায়ীরা লাভ না করতে পারলে ব্যাংকের ঋণ শোধ করতে পারবেন না। প্রতিষ্ঠান খেলাপি হয়ে বন্ধ হয়ে যাবে। ব্যবসায়ীরা লাভ করে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেন। তাতে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ে। নতুন নতুন কর্মসংস্থান হয়। তাতে দেশ এগিয়ে যায়। তাই ব্যবসায়ীদেরকে লাভ করার সুযোগ দিতে হবে।
ডিএসইর লিস্টিং বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রবিউল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. এটিএম তারিকুজ্জামান। তিনি বলেন, একটি নতুন ফান্ড বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করে। আমরা বিশ্বাস করি মিউচ্যুয়াল ফান্ড সেক্টরের এই ইউনিট ফান্ড পুঁজিবাজারের গভীরতা বৃদ্ধি করবে। পূর্বে ক্যাপিটেক-এর আরও ৩টি ওপেন এন্ড মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে। আজকের ফান্ডটি তাদের প্রথম ক্লোজ এন্ড মিউচুয়াল ফান্ড।
ফান্ডগুলোতে বিনিয়োগকারীর স্বার্থ রক্ষা করে দক্ষভাবে পরিচালনা করার জন্য তিনি পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার ড. মিজানুর রহমান।
উদ্বোধনের পরে তালিকাভুক্তিকরণ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয়। ডিএসইর প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা খায়রুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ এবং ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজম্যান্ট লিমিটেডের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সুমিত পাল নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তালিকাভুক্তিকরণ চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর পরিচালক শরীফ আনোয়ার হোসেন, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম সাইফুর রহমান মজুমদার, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা সাত্বিক আহমদ শাহ, ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহফুজুর রহমানসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।