চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চারজন সদস্যকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান চঞ্চলের বিরুদ্ধে। সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য ঠাণ্ডু মণ্ডল, ৩নং ওয়ার্ডের শামিম রেজা, ৪নং ওয়ার্ডের শাহাদত হোসেন ও ৮নং ওয়ার্ডের হারুন মণ্ডল।
আহত চার ইউপি সদস্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে ভুক্তভোগীরা ইউনিয়নের আরও ছয় ইউপি সদস্যকে নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগে বলেন, আমরা গত ২১ মাস ধরে বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান চঞ্চলের নির্যাতনের শিকার। আমরা ইউনিয়ন পরিষদের সকল সেবামূলক কাজ থেকে বঞ্চিত। ইউনিয়ন পরিষদের কোনো মাসিক মিটিং হয় না, সচিব আমাদের কোনো নোটিশও পাঠান না। ইউনিয়ন পরিষদে সরকার কর্তৃক যে অনুদান আসে আমরা তা জানতেও পারি না। এখন পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদের কোনো সম্মানী ভাতা পাইনি। ওয়ার্ডের কোনো উন্নয়নমূলক কাজও আমাদের করতে দেয় না। তিনি (চেয়ারম্যান) তার কর্মীদের নিয়ে কাজ করেন।
আজ সোমবার আমরা জানতে পারি সরকারি অনুদান (কৃষকদের ভর্তুকি) এসেছে। বিষয়টি নিশ্চিত হতে দুপুরে আমরা চারজন আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসে যাই। খবর পেয়ে চেয়ারম্যান তার গাড়িচালক (সাবেক ইউপি সদস্য) বিপ্লব ও তার অন্যান্য লোকজন নিয়ে আমাদের চারজনকে মারধর করেন। এতে একজনের হাত ভেঙে গেছে। এছাড়া চেয়ারম্যান আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এ বিষয়ে জানতে বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান চঞ্চলের মুঠোফোনে একাধিক কল করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।