সোমবার (১৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে দশটায় রিটার্নিং অফিসার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আবু হাসান ফল ঘোষণা করেন। এতে ৩৩টি শিক্ষক প্রতিনিধি পদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ ২৪টি এবং শিক্ষক ঐক্য পরিষদ ৮টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ১টি পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে উপাচার্যপন্থী হিসেবে পরিচিত আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ ও উপাচার্য বিরোধী হিসেবে পরিচিত বিএনপি ও আওয়ামী পন্থী শিক্ষকদের একাংশ নিয়ে গঠিত জোট ‘শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’ ব্যানারে দু’টি সংগঠন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। এর বাইরে আরো দুই বিভাগের দুই শিক্ষক স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়েছেন।
নির্বাচনে উপাচার্যপন্থী শিক্ষকদের প্যানেল ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। তাদের এ প্যানেলটি ৩৩টি পদের মধ্যে বিজয়ী হয়েছেন ২৪ জন শিক্ষক।
অপরদিকে উপাচার্য বিরোধী শিক্ষকদের প্যানেল ‘শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’ প্যানেল পেয়েছে ৮টি পদ।
তবে স্বতন্ত্র ২ প্রার্থীর মধ্য থেকে একজন শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন।
ফল প্রকাশের পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ প্যানেলের পক্ষে অধ্যাপক মোহাম্মদ আলম কবির বলেন, ‘নির্বাচনের আগে আমরা যে ১৪টি ইশতেহার প্রকাশ করেছিলাম, সেগুলো বাস্তবায়ন করব। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে আমরা তৎপর থাকব।’
অন্যদিকে শিক্ষক ঐক্য পরিষদ প্যানেলের পক্ষে অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে দলমত নির্বিশেষে আমরা একত্রে কাজ করব।’
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ২০১৫ সালে জাবির সিনেট শিক্ষক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৩ বছর পর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ ৮ বছর পর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় আজ। উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল ৯টায় শুরু হয়ে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। ৬১৩ জন ভোটারের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ৫৭৭ জন শিক্ষক। ৩৩টি পদের বিপরীতে লড়েছেন ৬৮ জন প্রার্থী। দুইটি প্যানেল থেকে শিক্ষকরা নির্বাচন করেন। এ ছাড়া দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন।