এরআগে শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিষয়টি তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি। কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামছুল হককে। সদস্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান ও বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান জানান, কমিটি তদন্ত শুরু করেছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আশা করছি, তদন্ত শেষ করে খুব শিগগির প্রতিবেদন দিতে পারবো।
সূত্র জানায়, শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি নাজমুল হক কামাল শায়েস্তাগঞ্জের অলিপুরে অবস্থিত তিনটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের কাছে সহযোগিতা চেয়ে পৃথক তিনটি চিঠি লেখেন। ১০ অক্টোবর সই করা ওই চিঠিতে শারদীয় দুর্গাপূজা ও কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে প্রত্যেকের কাছে সাড়ে তিন লাখ টাকার হিসাব দেওয়া হয়। নাস্তা, পানীয় ও ফলমূল সরবরাহ করার বিষয় উল্লেখ করে পূজা ও কমিউনিটি পুলিশিং ডে’র নামে টাকা চাওয়া হয়। তিনটি চিঠিই একই রকম।
চিঠিতে বলা হয়, ১৪ অক্টোবর শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে পূজা কমিটির সভাপতি, সহ-সভাপতি, কমিটির অন্যান্য সদস্যসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের নিয়ে একটি মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে। পূজা সংক্রান্ত ওই অনুষ্ঠানে আপনার উপস্থিতি একান্ত কাম্য। অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকজনদের নাস্তা এবং আপ্যায়নের জন্য বর্ণিত মালামাল সরবরাহ করে পুলিশের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করার অনুরোধ করা হলো।
চিঠিতে ওসি কামাল খাবারের ছয়টি আইটেমের উল্লেখ করেন। পূজা উদযাপনের নামে কাচ্চি বিরিয়ানি, জিলাপি, মিষ্টি, দই, পানি, বিভিন্ন প্রকার ফলের খরচ বাবদ এক লাখ টাকা চাওয়া হয়। একই চিঠিতে আলাদাভাবে আগামী ২৮ অক্টোবর কমিউনিটি পুলিশিং ডে উদযাপনের জন্য আড়াই লাখ টাকার মালামাল চেয়ে হিসাব দেওয়া হয়।
পুলিশিং ডের কথা উল্লেখ করে প্রত্যেক চিঠিতেই ৫০০ লোকের সমাগমের কথা বলা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকজনদের আপ্যায়নে নানা ধরনের খাবারের আয়োজন করার কথা বলেন। এ আইটেমে রাখা হয় কাচ্চি বিরিয়ানি, কেক, মিষ্টি, পানি ও বিভিন্ন প্রকার ফল। কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে ব্যানার, ফেস্টুন, মাইকিং, ফিল্ড ক্যাপও এ চাঁদার মধ্যে ধরা হয়।