জমি বা ফ্ল্যাটসহ ব্যক্তিগত স্থাবর সম্পত্তি বিক্রির সময় প্রদেয় করকে চূড়ান্ত কর দায় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ফলে বিক্রেতাকে আর অতিরিক্ত কোনো কর দিতে হবে না।
১১ অক্টোবর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জারি করা এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আয়কর আইন-২০২৩–এর ৭৬ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারার ক্ষমতাবলে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের জন্য সম্পত্তি হস্তান্তর থেকে অর্জিত মূলধনি আয়ে উৎসে কর্তন করা করের পরিমাণকে চূড়ান্ত কর দায় হিসেবে নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে অর্জিত আয়ের বিপরীতে অতিরিক্ত কোনো কর পরিশোধ করা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
এর আগে গত ৪ অক্টোবর জমি রেজিস্ট্রেশনে কর কমায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। একইসঙ্গে এলাকাভিত্তিক জমি রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন কর থেকে সরে এসে মৌজাভিত্তিক জমি কর নির্ধারণ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে মৌজা অনুযায়ী বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকার জমি নিবন্ধন কর পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে উৎসে কর বিধিমালায় জমি নিবন্ধনের সর্বোচ্চ করহার ছিল ২০ লাখ টাকা বা দলিল মূল্যের ৮ শতাংশের মধ্যে যেটি সর্বোচ্চ, যা এখন সংশোধিত এসআরওতে করা হয়েছে– ১৫ লাখ টাকা বা দলিল মূল্যের ওপর ৮ শতাংশের যেটি সর্বোচ্চ।
নতুন আদেশ অনুযায়ী জমিকে ৫ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ‘ক’ শ্রেণির জমি সরকারি সংস্থা নির্মিত বাণিজ্যিক এলাকা, ‘খ’ শ্রেণি সরকারি সংস্থার আবাসিক এলাকা, ‘গ’ ও ‘ঘ’ শ্রেণি হবে যথাক্রমে বেসরকারি কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকা। এই চার শ্রেণির বাইরের জমি থাকবে ‘ঙ’ শ্রেণিতে। শ্রেণি অনুযায়ী নিবন্ধন কর নির্ধারণ করা হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে জমি ও ফ্ল্যাটের নিবন্ধন ব্যয় চূড়ান্ত করে দেয় সরকার। জমি বিক্রির সময় চুক্তিমূল্যের ৮ শতাংশ কর অথবা এলাকা ভেদে কাঠাপ্রতি ন্যূনতম কর নির্ধারণ করা হয়। অন্যদিকে, ফ্ল্যাট নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটারে ৮০০ টাকা বা চুক্তিমূল্যের ৮ শতাংশ– যেটি বেশি, সেটি কর হিসেবে দিতে হবে। এর পাশাপাশি জমি বা সম্পত্তি বিক্রিতে পাওয়া লাভের টাকায় বাড়তি করের বিধান রাখা হয়েছিল নতুন আয়কর আইনে।
পৃথক পৃথক জারি করা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিবন্ধনের করহার কমানোর পাশাপাশি বাড়তি কর বা গেইন ট্যাক্স থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।